অতিরিক্ত ঘাম অনেক মহিলার জন্যই একটি সাধারণ সমস্যা। গরমের দিনে বা মানসিক চাপে ঘাম বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও, সবসময় এই সমস্যাটির পিছনে কোনো গভীর কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে।
“অতিরিক্ত ঘাম বা হাইপারহাইড্রোসিস একটি চিকিৎসাগত অবস্থা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এটি হরমোনজনিত সমস্যা, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, ডায়াবেটিস বা কোনো সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে।”
**মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘামের কারণ:**
* **মেনোপজ:** মেনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেক মহিলারই ঘাম বেড়ে যায়।
* **গর্ভাবস্থা:** গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ঘাম বেড়ে যেতে পারে।
* **হরমোনজনিত সমস্যা:** থাইরয়েড গ্রন্থির অতিসক্রিয়তা বা অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যাও অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে।
* **ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:** কিছু ধরনের ঔষধ, বিশেষ করে রক্তচাপের ওষুধ বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে।
* **উদ্বেগ ও চাপ:** মানসিক চাপ এবং উদ্বেগও ঘাম বৃদ্ধির একটি সাধারণ কারণ।
**অতিরিক্ত ঘামের লক্ষণ:**
* হাত, পা, বগল বা মুখে অতিরিক্ত ঘাম
* রাতে ঘাম
* ত্বকের চুলকানি
* দুর্গন্ধ
**চিকিৎসা:**
অতিরিক্ত ঘামের চিকিৎসা কারণের উপর নির্ভর করে। ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ নির্ণয় করবেন এবং তারপর উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন। চিকিৎসায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
* ঔষধ
* অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট
* বোটক্স ইনজেকশন
* সার্জারি
**কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:**
* যদি আপনার ঘাম বেড়ে যাওয়া দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি করে
* যদি আপনার অন্য কোনো লক্ষণ থাকে, যেমন ওজন কমে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি বা দুর্বলতা
* যদি আপনার ঘামের সাথে দুর্গন্ধ থাকে
**প্রতিরোধ:**
* হালকা ও শুষ্ক পোশাক পরুন
* সুতির কাপড় পরুন
* মশলাদার খাবার কম খান
* ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
* নিয়মিত স্নান করুন
* মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন
**আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন এবং অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।**