কিছু জিনিস আমরা ছবিতে দেখলেও মাঝে মাঝে তা বাস্তবে পরিণত হয়। যেমন, অক্ষয় কুমারের ‘জানোয়ার’ ছবি তার একটি বাস্তব উদাহরণ। অপহরণকারীদের কাছ থেকে নিজের মায়ের কাছে না যাওয়ার জন্য অঝোরে কান্না শিশুর।
১১ মাস বয়স থেকে অপহরণকারীর কাছে মানুষ সে। কোলে-পিঠে করে আদর যত্নে মানুষ করছিলেন তাকে। ‘অচেনা’ মায়ের কাছে যাবে না সে। নিষ্পাপ শিশুর কান্না দেখে চোখ বেয়ে জল পড়ে অভিযুক্তেরও। এই দৃশ্য ‘থ’ হয়ে দেখছিলেন জয়পুর থানার পুলিশও। জানা গেছে, ১৪ মাস আগে পুনম চৌধুরি নামে এক মহিলার বাড়ির সামনে থেকে তাঁর ছেলে পৃথ্বীকে অপহরণ করেন আগ্রার এক বাসিন্দা। যিনি ওই মহিলারই আত্মীয় ছিলেন। নাম তনুজ চাহার। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেড কনস্টেবল ছিলেন তিনি। পৃথ্বীকে অপহরণ করে যমুনা নদীর তীরে একটি কুঁড়েঘরে সাধু সেজে থাকছিলেন তনুজ। শিশুটিকে নিজের ছেলে বলে পরিচয় দিতেন। গত ২৭ আগস্ট পুলিশ গোপন সূত্রে তাঁর খবর পায়। সেখানে পুলিশ পৌঁছতেই পৃথ্বীকে কোলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তনুজ। আট কিলেমিটার ধাওয়া করার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরই তাঁকে হেড কনস্টেবল পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। সূত্রের খবর, পৃথ্বী ও তার মা পুনমকে নিজের কাছে চেয়েছিলেন তনুজ। কিন্তু পুনম রাজি না হওয়ায় তাঁর ছেলেকে অপহরণ করেন তিনি।