অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। নয় মাস বাদে খুলল পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির। করোনার জেরে এতদিন বন্ধ ছিল এই মন্দিরটি। এদিন পুরোহিতদের পরিবারের লোকজনরা প্রথমে সুযোগ পান দেবতার মূর্তির দর্শন করার।
এদিন গর্ভগৃহের দরদা খোলা হয় সকাল ৪.৫৯ মিনিটে। তারপর যাবতীয় রীতি-রেওয়াজ মেনে চলে পূজোপাঠ। এরপর পুরোহিতদের বাড়ির লোকেরা প্রবেশের অনুমতি পান। এতদিন বাদে দেবদর্শন, অনেক ভক্তই আবেগে অশ্রুসজল হন। এক মহিলা ভক্ত বলেন যে তিনি আবেগ চাপতে পারেননি। দেবদর্শন আগে এত সুন্দর হয়নি বলেও জানান তিনি। অনেকেই জগন্নাথের মূর্তির সামনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। তাঁদের আশা, ঠাকুরের দয়ায় এবার নিশ্চিত ভাবেই করোনার প্রকোপ কেটে যাবে।
২০ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল জগন্নাথ মন্দির। এমনকী রথযাত্রাও হয়েছে নমো নমো করে, পুরোহিত ও সেবায়েতদের উপস্থিতিতে। ছিলেন না কোনও সাধারণ দর্শনার্থী। পুরির জেলাশাসক জানিয়েছেন যে শুধু সেবায়েতগণ ও তাঁঁদের পরিবারবর্গ ২৫ ডিসেম্বর অবধি দর্শন করতে পারবেন। তাঁদের পরিচয়পত্র নিয়ে যেতে হবে।
তারপর ২৬-৩১ ডিসেম্বর অবধি পুরীর স্থানীয়রা ঠাকুরের দর্শন করতে পারবেন। পুরসভার লোকেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টোকেন দিয়ে আসবেন বাড়ির কর্তার নামে। কখন তাঁরা যেতে পারবেন সেটা প্রশাসন বলে দেবে। এরপর নতুন বছরের প্রথম দুই দিন ভিঁড় এড়াতে মন্দির বন্ধ থাকবে। সবার জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে তেসরা জানুয়ারি থেকে। তবে সেদিন থেকে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য। দশ বছরের কম বয়সী শিশু ও ৬৫ উর্ধ্বদের মন্দির প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।