More
    Homeখবরঅবশেষে সুখবর! চলতি মাসের শেষে ভারতে আসছে ভ্যাকসিন, জানালেন AIIMS প্রধান

    অবশেষে সুখবর! চলতি মাসের শেষে ভারতে আসছে ভ্যাকসিন, জানালেন AIIMS প্রধান

    বুধবারই জানা গিয়ে ব্রিটেনে জরুরিভিত্তিতে প্রতিষেধক প্রয়োগের ছাড়পত্র পয়েছে ফাইজার। আগামী সপ্তাহ থেকেই সেদেশে শুরু করে টিকাকরণ। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভারতের জন্যও সুখবর শোনালেন দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া।

    AIIMS ডিরেক্টর আশাবাদী চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতেই ভারতেও জরুরিকালীন ভিত্তিতে টিকাকরণ শুরু হয়ে যেতে পারে।

    ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, “ভারতে এখনও পর্যন্ত একাধিক ভ্যাকসিন সর্বশেষ ট্রায়ালের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। তারই মধ্যে একটি ভ্যাকসিন ব্যবহারের চেষ্টা চালাবেন গবেষকরা।”
    যদিও কোন সংস্থার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হতে পারে সেই বিষয়ে  ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন এইমসের । দেশে কোভিড-১৯ (Covid-19) ব্যবস্থাপনায় যে টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে, সেখানেই সদস্য হিসাবে রয়েছেন গুলেরিয়া।
    গুলেরিয়া আরও জানান, “সুরক্ষা ও কার্যকারিতার দিকটিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রায় ৭০,০০০-৮০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর একটি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দেখা গেছে যে এই প্রতিষেধক স্বল্প সময়েই কার্যকরী। সহজ ভাবে বললে প্রয়োগের বিচারে এই টিকাটিকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে।”
    বর্তমানে ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের  কোভ্যাক্সিনের  চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। স্বাভাবিক এই ২টি ভ্যাকসিনকে নিয়ে উৎসাহ ক্রমেই বাড়ছে দেশে।
    এদিকে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবক যে অভিযোগ তুলেছিলেন, ডঃ গুলেরিয়া তা সম্পূর্ণ নাকচ করে দেন। তাঁর বক্তব্য, “আসলে ভ্যাকসিন নয়। স্বেচ্ছাসেবকদের পূর্ব শারীরিক সমস্যাই এইরকম ভোগান্তি ডেকে এনেছে।”
    গুলেরিয়া বলেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোন ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে। কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে ওই ভ্যকসিন বিতরণের পন্থাপদ্ধতি, ভ্যাকসিন মজুত করা, গোডাউন তৈরি করার কাজ চলছে।

    ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিধি সম্পর্কে ডঃ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, “প্রথম ধাপে কোমর্বিডিটিযুক্ত বয়স্ক এবং সম্মুখ সারির কোভিড যোদ্ধাদের এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।” তাঁর মতে, “কোভিডের প্রভাব আগের তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে। আগামী তিনমাস যদি আমরা এভাবেই সতর্কভাবে জীবনযাপন করে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারি, তাহলে সহজেই করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সম্ভব।”

     

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments