অযোধ্যা রামনগরী তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এর জন্য কনসালটেন্সি এজেন্সি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে কানাডার সংস্থা LEA অ্যাসোসিয়েটসকে। এই সংস্থাই সম্পূর্ণ অযোধ্যা নগরীর পরিকল্পনা করবে। একইসঙ্গে সেই কাজে অংশ নেবে সিপি কুকরেজা ও L&T। মূলত অযোধ্যাকে বিশ্বমানের শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এর জন্য ৩টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। অযোধ্যার স্মার্ট সিটি পরিকল্পনা, নদী এলাকা, উন্নয়ন, হেরিটেজ, পর্যটন এবং প্রযুক্তির জন্য এই চুক্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কানাডার এই সংস্থাকে অযোধ্যা ডেভলপমেন্ট অথরিটি বাছাই করেছে। দেশ বিদেশের আরও ২টি সংস্থার সঙ্গে তুল্যমূল্য বিচারের পর বেছে নেওয়া হয়েছে এলইএকে। জানা গেছে গত ২৬ ডিসেম্বর রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল প্রকাশ করে অযোধ্য়া ডেভলপমেন্ট অথরিটি। তার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু সংস্থা আবেদন করে। ৭টার মধ্যে ৬টিকে বেছে নেয় অথরিটি। যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে সেই অনুযায়ী ৩টি সংস্থাকে বাছাই করে দরপত্র মূল্যায়ন সমিতি। বেছে নেওয়া হয়েছিল এলইএ অ্যাসোসিয়েটস সাউথ এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, আইপিই এবং টাটা ইঞ্জিনিয়ার্সকে।
লখনউয়ের আবাস বিকাশ পরিষদে এই তিন সংস্থার আর্থিক ও প্রযুক্তিগত দরপত্র পর্যালোচনার পর এলইএ-কে ভিশন ডকুমেন্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। অংশীদার হিসেবে রাখা হয়েছে L&T ও সিপি কুকরেজাকে। অযোধ্যা শহরে সমীক্ষা এবং পর্যালোচনার মধ্যমে কাজ করবে এই সংস্থাগুলি। অযোধ্যার ধর্মীয় গুরুত্ব এবং রাম মন্দিরের মাহাত্ম্যকে মাথায় রেখে সমস্ত কাজ করা হবে।
প্রসঙ্গগত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাম মন্দির তৈরির প্রক্রিয়া। গত বছর রাম মন্দিরের শিল্যানাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহের কাজও। মন্দির নির্মাণ তহবিলে অনুদান দিচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ।