অ্যান্টি এজিং সুবিধাযুক্ত উপকারী ভেষজ
১. তুলসি
অ্যান্টি এজিং এর জন্য কচি তুলসী পাতা ময়দা মধু –
তুলসী পাতায় আছে এমন কিছু সিক্রেট উপাদান যা ত্বকের তারুণ্য বেশিদিন ধরে রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ইউভি এক্সপোজার (UV exposure) আপনার ত্বকের ক্ষতি করে এবং কোলাজেন (Collagen) হ্রাস ঘটায়। কোলাজেন এমন একটি যৌগিক উপাদান যা আপনার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় গবেষকরা বিষয়টি সাময়িকভাবে আবিষ্কার করেছেন যে, ত্বকে তুলসীর প্রয়োগ ত্বকের আর্দ্রতা স্তর ধরে রাখে, ত্বকের রুক্ষতা হ্রাস করে, ত্বক স্ক্যালিনেস (Scaliness) করে ত্বকের বলিরেখা দূর করে ও ত্বক করে তোলে মসৃণ।
উপকরণ
কচি তুলসী পাতা
ময়দা
মধু
পদ্ধতি
১. তুলসী পাতা হালকা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর এগুলো নরম করে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
২. তুলসী পেস্ট এর সাথে পরিমাণমতো ময়দা ও মধু মিশিয়ে নিন।
৩. এবার এটি আপনার মুখে লাগান এবং এটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৪. তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. দারুচিনি
অ্যান্টি এজিং এর জন্য দারুচিনি গুঁড়ো ,কাঁচা মধু –
দারুচিনি আয়ুর্বেদিক ঔষধে বহুল ব্যবহৃত হয় এর বিশেষ নিরাময়যোগ্য বৈশিষ্ট্যের জন্য। এটিও এক ধরনের কোলাজেন প্রতিরোধকারী উপাদান বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। এতে থাকা অ্যান্টি-এজিং উপাদানগুলো ত্বকের ভাঙ্গন এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা জনিত ক্ষতি রোধ করে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে এটি কোলাজেন সংশ্লেষণকেও বাড়িয়ে তোলে এবং বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলো প্রতিরোধ করে। চলুন তাহলে দেখে নিই অ্যান্টি-এজিংয়ের জন্য দারুচিনি কীভাবে ব্যবহার করবেন।
উপকরণ
১ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
১ টেবিল চামচ কাঁচা মধু
পদ্ধতি
১. প্রথমে একটি পাত্রে দুটি উপাদান মিশ্রিত করুন।
২. তারপর ফেইস মাস্ক হিসেবে পুরো ফেইসে প্রয়োগ করুন।
৩. এরপর এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
৪. এবার হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।