আগামী অর্থবর্ষ থেকে কর্মচারীদের ‘টেক হোম স্যালারি’-র হেরফের হতে পারে। তবে ঠিক কবে থেকে সেই পরিবর্তন হতে পারে, সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। নয়া লেবার কোড বা শ্রমবিধি কার্যকর হলেই সেই ‘টেক হোম স্যালারি’ বা হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ পালটে যেতে পারে।
নয়া শ্রমবিধি কার্যকর হলে কর্মচারীদের মাসিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটির পরিমাণে হেরফের হতে পারে। কারণ সেই শ্রমবিধির আওতায় কোনও কর্মীর সর্বমোট মাসিক বেতনের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ হতে হবে মূল বেতন (বেসিক স্যালারি)। অর্থাৎ নয়া শ্রমবিধি যদি কার্যকর হয়, তাহলে কর্মচারীদের মাসিক ভাতা (অ্যালোয়েন্স) ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। সেই ৫০ শতাংশের মধ্যে ট্র্যাভেল অ্যালোয়েন্স, হাউজ রেন্ট, ওভারটাইমের মতো-যাবতীয় ভাতা (অ্যালোয়েন্স) দিতে হবে। তার ফলে কর্মীদের সিটিসি বা ‘কস্ট টু কোম্পানি’-এর (যে টাকায় চুক্তি হচ্ছে) কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। বেতন সংক্রান্ত শ্রমবিধিতে ‘মজুরি’-র সংজ্ঞা অনুযায়ী, তিনটি বিষয় থাকবে – বেসিক পে (মূল বেতন, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সেটির যোগ থাকবে), মহার্ঘভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স বা ডিএ) এবং রিটেনশন পেমেন্ট।