হাসপাতালে তৃণমূল সুপ্রিমো। এই পরিস্থিতিতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশ কবে হবে তা জানতে চায় রাজনৈতিক মহল। কারণ বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফিরে তাঁর দলের ইস্তেহার প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু তা থমকে গিয়েছে এই ঘটনার জেরে। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর মিলল। আগামী ১৪ মার্চ নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম দিবসের দিনেই ইস্তেহার প্রকাশের সিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী বলে খবর।দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১৪ মার্চই নন্দীগ্রাম দিবস। তা সেই দিনটিকেই বেছে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ অথবা কাল হাসপাতাল থেকে ছুটি পাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর বাড়ি ফিরেই চোখ বুলিয়ে নেবেন ইস্তেহরে। সেখানে যদি কিছু সংশোধন করার থাকে তা করে রবিবার নন্দীগ্রাম দিবসের দিন প্রকাশ করে দেওয়া হবে। যে নন্দীগ্রামে তিনি আঘাত পেলেন সেই নন্দীগ্রামকেই তিনি কাছে টেনে নিতে চান। তাই ফের সেখানে যাবেন বলেও ঠিক হয়েছে।
তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ হয়ে যেত চলতি সপ্তাহেই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে আহত হওয়ায় সেই ইস্তাহার প্রকাশের সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব শীঘ্রই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যাবেন। তাই তিনি নিজে কালিঘাটের বাড়ি থেকেই দলের ইস্তেহার প্রকাশ করবেন। কার্যত এদিন শুভেন্দু অধিকারী তাঁর মনোনয়ন দাখিল করার আগে নন্দীগ্রাম থেকে আরও এক পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের তরফে ১৪মার্চকে গুরুত্ব দিয়ে কার্যত বুঝিয়ে দেওয়া হল নন্দীগ্রামের বুকে একবারই পরিবর্তন হয়েছে আর তা ২০১১ সালে যখন তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার ক্ষমতায় এসেছে পরিবর্তনের কাণ্ডারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। এখন দেখার বিষয় তৃণমূলের ইস্তেহারে বাংলার জনতার জন্য কী থাকে।