More
    Homeরাজ্যআগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে কোভিড টিকাকরণ, সুষ্ঠু ও মসৃণ...

    আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে কোভিড টিকাকরণ, সুষ্ঠু ও মসৃণ ভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দায়িত্বে ২৩টি দফতর

    আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে কোভিড টিকাকরণ প্রক্রিয়া। তার জন্য প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সরকারের সব দফতর। টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, তবে সুষ্ঠু ও মসৃণ ভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দায়িত্ব বর্তেছে অন্যান্য মন্ত্রকের উপরেও।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন দফতরকে কী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    নারী ও শিশু উন্নয়ন: টিকাকরণ প্রপক্রিয়া কর্মী নিয়োগ করছে এই দফতর। সেই সঙ্গে কোভিড ভ্যাক্সিন প্রাপক তালিকায় নিজেদের আইসিডিএস কর্মীদের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে সব তথ্যও সরবরাহ করেছে এই দফতর।

    পঞ্চায়েতি রাজ: টিকাকরণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা এবং পরিকল্পনায় সাহায্য করেছে এই দফতর। পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের নামও নথিভুক্ত করতে সাহায্য করেছে এই দফতর।

    গ্রামোন্নয়ন:  টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় আত্মনির্ভর গোষ্ঠীগুলির অন্তর্ভুক্তিকরণ।

    শিক্ষা: টিকাকরণ অধিবেশনে ব্যবস্থাপনায় সাহায্য ছাড়াও প্রয়োজনে কর্মী সরবরাহ।

    আয়ুষ: দফতরের স্বাস্থ্যকর্মীদের চিহ্নিতকরণ। এই দফতরই সরবরাহকরছে টিকা দানে দক্ষ কর্মী অর্থাৎ নথিভুক্ত ভ্যাক্সিনেটরদের।

    নগরোন্নয়ন: স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যান্য প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা হিসেবে কর্মরত পুরকর্মীদের নথিভুক্তিকরণ। পুরসভার কর্মীরা ভ্যাক্সিন আধিকারিক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

    ক্রীড়া ও যুব: ভ্যাক্সিন কেন্দ্রে ভিড় সামলানোর জন্য NYKS ও NSS ক্যাডেটদের সরবরাহ করা।

    রাজ্য পুলিশ দফতর: পুলিশ দফতরে ভ্যাক্সিনেশন তালিকায় থাকা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত কর্মীদের চিহ্নিতকরণ ও টিকাকরণ। প্রান্তিক ও মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ভ্যাক্সিন পৌঁছে দেওয়া ও টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করা। এ ছাড়া ভ্যাক্সিন মজুত, সরবরাহ ও টিকাকরণ কেন্দেরর সুরক্ষা ও ভিড়সামলানোর দায়িত্বও থাকছে রাজ্য পুলিশের হাতে।

    রাজস্ব, পিডব্লুডি, জনস্বাস্থ্য ইঞ্জিনিয়ারিং: টিকাকরণ কেন্দ্রের জন্য জমি চিহ্নিত করা।

    প্রতিরক্ষা: প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ভ্যাক্সিন তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা এবং প্রান্তিক ও স্পর্শকাতর এলাকায় ভ্যাক্সিন পৌঁছে দেওয়া।

    খাদ্য ও পণ্য সরবরাহ: টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থা এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নথি যাচাই।

    সমাজ কল্যাণ, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও জনজাতি বিষয়ক: এই দফতরের অধীনেই থাকছে টিকাকরণ কেন্দ্র নির্মাণের ভার।

    প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন: ভ্যাক্সিন মজুদের জন্য প্রয়োজনে কোল্ড স্টোরেজ সরঞ্জাম সরবরাহে সাহায্য।

    রেল: রেল হাসপাতালগুলিতে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের চিহ্নিতকরণ। এই হাসপাতালগুলিতেও তৈরি হয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্র। রেলের টিকিটেও কোভিড ভ্যাক্সিন নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।

    শ্রম ও কর্মসংস্থান: ইএসআই হাসপাতালগুলিতে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের নথিভুক্তিকরণ এংবং এই হাসপাতালগুলিতে কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি করা।

    তথ্য ও প্রযুক্তি: Co-WIN অ্যাপ নির্মাণ ও সংরক্ষণ, গ্রামস্তরে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত টিকা গ্রহণকারীদের নথিভুক্তিকরণের স্বার্থে কমন সার্ভিস সেন্টার পরিচালনা ছাড়াও টিকাপ্রাপকদের জন্য শংসাপত্র ছাপা-সহ যোগাযোগ ও ওয়েব ভিত্তিক পরিষেবা প্রদান।

    রাজ্য এইডস নিয়ন্ত্রণ সোসাইটি: টিকা নেওয়া নিয়ে মানুষের মনে দ্বিধাবোধ ও আগ্রহের বিষয়গুলি সামলাবেন কাউন্সেলররা।

    বিদ্যুৎ: টিকা সংরক্ষণ ও মজুত কেন্দ্র এবং টিকাকরণ কেন্দ্রে অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ সুনিশ্চিত করা।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments