আগামী মাস থেকে পঁয়তাল্লিশোর্ধ্বদের Covid 19 ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ। ষাটোর্ধ্ব ও কো-মরবিডিটি যুক্ত পঁয়তাল্লিশোর্ধ্বদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে তৃতীয় ফেজ। এই পর্যায়ে চলবে পঁয়তাল্লিশোর্ধ্বদের টিকাকরণ।
ন্যাশানাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সংক্ষেপে NEGVAC-এর ব্লু-প্রিন্ট মেনেই চলছে টিকাকরণ। সেই ছক অনুযায়ী প্রথমেই টিকা পেয়েছেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। অর্থাত্ চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিসকর্মী ইত্যাদি পেশায় যুক্তরা। এমন মানুষের মোট সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি।
তারপরেই শুরু হয় দ্বিতীয় ফেজের টিকাকরণ। এক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যাঁদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। টিকাকরণ হচ্ছে ষাটোর্ধ্বদের। তার পাশাপাশি পঁয়তাল্লিশোর্ধ্ব কো-মরবিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের। এর পরেই অগ্রাধিকারের সিঁড়িতে রয়েছেন পঁয়তাল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা।
ঠিক কীভাবে সাজানো হয়েছিল করোনা টিকাকরণের ব্লু-প্রিন্ট? প্রশ্নের উত্তরে এক সরকারি আধিকারিক জানালেন, ‘ভারতের জনসংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রায় ১৩০ কোটি মানুষকে একই সঙ্গে টিকাকরণ করা অসম্ভব। তাই সরকারকে অগ্রাধিকারের পথে হাঁটতে হয়েছে। যাঁরা সরাসরি করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন, তাঁদেরকে স্বাভাবিকভাবেই তালিকার শুরুতে রাখা হয়। তারপর যখন সাধারণ মানুষের জন্য সেটা চালু হল, তখন বয়স ও স্বাস্থ্যের ভিত্তিতে অগ্রাধিকারের প্রক্রিয়া শুরু হল।’