কথা রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনের আগেই স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। আর নির্বাচন মিটে সরকার গড়ার দেড় মাসের মধ্যে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজ শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে বৃহস্পতিবার তিনি জানান, আগামী ৩০ জুন থেকে চালু হচ্ছে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে ২৪ বছর পর্যন্ত যে কোনও পড়ুয়া পড়াশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ন্যূনতম সুদে লোন নিতে পারবে। দশম শ্রেণি থেকেই এই ক্রেডিট কার্ড নেওয়া যাবে।
নির্বাচনের আগে ইস্তেহারে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বলা হয়েছিল, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের কথা। বলা হয়েছিল, পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘ক্যাবিনেটে অনুমোদন পেয়েছে এই প্রকল্প। দশম শ্রেণি থেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন পড়ুয়ারা।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পড়াশোনা করার জন্য আর ঘরবাড়ি বিক্রি করতে হবে না। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে হলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গ্যারেন্টার হবে। পড়াশোনার জন্য বাবা–মায়েদের যেরকম চিন্তা করতে হয়, তা আর করার প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকার আপনাদের পাশে আছে। আজকের দিনটি পড়ুয়াদের। রাজ্যে দশম শ্রেণিতে প্রতি বছর প্রায় ১০ লক্ষ পড়ুয়া থাকে। দ্বাদশ শ্রেণিতে থাকে সাড়ে ৯ লক্ষ। দশম থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর–সহ যাবতীয় পড়াশোনার জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে এবার পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে। যা ক্রেডিট হবে তা ফেরত দেওয়ার জন্য চাকরি পাওয়ার পর ১৫ বছর সময় পাবেন পড়ুয়ারা।’অনলাইনেই এই কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। কীভাবে আবেদন করতে হবে এবং কীভাবে এই কার্ড পাওয়া যাবে, তা আগামী ৩০ জুন প্রকল্পের সূচনার পরই জানানো হবে। একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো কৃষকদের কথা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে এই ভাতার অঙ্ক দ্বিগুণ বাড়ানো হবে। ক্ষমতায় ফিরে সেই কথাও রেখেছেন তিনি। চলতি মাসের শুরুতেই মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায় ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। ১৭ জুন থেকে শুরু হয়েছে টাকা বন্টন। এবার অনুমোদিত হল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পও।