বৃহস্পতিবার কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রথম সারির নেতা অমিত শাহ। কোচিবিহারে প্রথমে তিনি মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেন। রাসমেলা ময়দানের কাছেই রয়েছে রাজবংশী নেতা তথা সমাজ সংস্কারক পঞ্চানন বর্মার মূর্তি। অমিত শাহ সেই মূর্তিতে মালা দেন। তারপর মঞ্চে উঠে ভাষণ শুরু করেন। রাজবংশী অধ্যুষিত কোচবিহারে অমিত শাহের বক্তব্যে বার বার আসে ওই জনজাতির উন্নয়নের কথা। তাঁদের প্রতি কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূল সরকারের ‘বঞ্চনার’ কথা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সেই ভূমি, যেখানে মোঘলদের বিজয়যাত্রাকে রুখে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ভূমি রক্ষার জন্য নারায়ণী সেনা যে সাহস দেখিয়েছিল, তাকে সম্মান জানাতে আধা সেনায় নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন তৈরি করা হবে। তিনি ঘোষণা করেন, মদনমোহন মন্দির, কামতেশ্বরী মন্দির ও পঞ্চানন বর্মার জন্মস্থল ঘিরে একটা ট্যুরিস্ট সার্কিট গড়ে তোলা হবে। সারা দেশ থেকে পর্যটকরা এখানে আসবেন। ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে রাজবংশী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। প্রায় ৪৫ মিনিটের ভাষণে একবারও নাগরিকত্ব আইনের কথা বলেননি অমিত শাহ। রাজবংশীদের একটি বড় অংশ সিএএ-র বিরোধী। নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী বাতিলের দাবিতে রাজবংশীদের একটি সংগঠন আন্দোলনও করেছিল।