একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিয়ে ফেরার সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক সেই সায়ন লাহিড়িকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শনিবার দুপুরের মধ্যে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি জানান তদন্তের প্রয়োজনে বা বয়ান রেকর্ড করার দরকার পড়লে তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার কোনও দরকার নেই। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। অভিযানে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া থেকে সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে সংগঠনের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ির বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল থেকে বেরোনোর সময় গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সায়নের আইনজীবী আদালতে জানান সুপ্রিম কোর্ট শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ কোনওভাবেই বাধা দিতে পারবে না। যদিও কর্মসূচি নিয়ে আহ্বায়ক সায়ন যখন কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন,তার কিছু পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ময়দান থানায় খুনের ষড়যন্ত্র করার মামলা রুজু করে পুলিশ। আদালতে রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত জানান শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের কথা বললেও অভিযান শেষপর্যন্ত হিংসাত্মক চেহারা নেয়। ইটের ঘায়ে জখম হন এক পুলিশ কর্মী। বাবুঘাটের সামনে পুলিশের দুটি বাইক ও গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এজি জানান সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও বিচারপতির প্রশ্নে কার্যতই অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় সরকারি আইনজীবী। এদিকে মুক্তির পর নতুন কোন কর্মসূচি নিতে পারে ছাত্রসমাজ, তা এখনও জানা হয়নি।