প্রতীক্ষার অবসান। আজ, সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনেই বহু প্রতীক্ষিত কাশী-বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ বহু প্রতীক্ষিত কাশী-বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধন করবেন মোদী, বারাণসীতে প্রস্তুতি তুঙ্গে
Read More-Miss Universe 2021: মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে সেরার তাজ জিতল চণ্ডীগড়ের মেয়ে হরনাজ সান্ধু
সাধারণ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই করিডরটি। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে ঐতিহাসিক কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরকে ঘিরে নির্মিত এই প্রকল্পের উদ্বোধনকে রাজনৈতিকভাবেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে এই করিডরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৮ মার্চ এই প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রকল্পের সব পর্যায় নিয়েই সক্রিয় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কীভাবে এই প্রকল্পের কাজ এগোচ্ছে সে বিষয়েও সবসময় সচেতন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে মোট ২৩টি ভবনের উদ্বোধন করা হবে। থাকছে শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে আসা তীর্থযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা প্রদান। এর মধ্যে রয়েছে-যাত্রী সুবিধা কেন্দ্র, পর্যটন সুবিধা কেন্দ্র, ফুড কোর্ট, মিউজিয়াম-সহ একাধিক সুবিধা।
এদিকে, ইতিমধ্যেই কাশি বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বারাণসীর রাস্তায় পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে । এই উদ্বোধনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও জোরদার এবং কড়কড়ি করা হয়েছে । জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আজ এই কাশী-বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধন ঘিরে উত্সাহ দেখা গিয়েছে বারাণসীবাসীর মনে।
অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১ টা নাগাদ কাশী বিশ্বনাথ মন্দির পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই প্রার্থনা করবেন। এরপর তিনি প্রথম ধাপে নির্মিত কাশী বিশ্বনাথ ধামের উদ্বোধন করবেন। ৩৩৯ কোটি টাকায় তা নির্মাণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৭৮০ সালে বর্তমান কাশী বিশ্বনাথ মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন মহারাণী অহল্যাবাঈ হোলকার। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের ‘জ্যোতির্লিঙ্গ’ অন্য বারোটি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সারা বছর জুড়ে লক্ষ লক্ষ ভক্তসমাগম লেগেই থাকে এই তীর্থক্ষেত্রটিতে।