আজ, মঙ্গলবার ‘কমরেড’ মইদুল ইসলাম মিদ্যাকে শেষে বিদায় জানালো গোটা কোতলপুর। এদিন সকালে গ্রামের বাইরে একটি ফাঁকা মাঠে মইদুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়। রাতে থেকেই বাড়িতে জানাজার প্রস্তুতি চলছিল। এদিন সকাল ১০ নাগাদ তাঁর জানাজায় সামিল হন গোটা চোরকোলা গ্রাম। ‘কমরেড’কে চোখের জলে বিদায় দিলেন স্থানীয়রা। সঙ্গে এদিন ডিওয়াইএফআই নেতা কর্মীরাও সামিল ছিলেন। দলের সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখার্জী, রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র, সভানেত্রী মিনাক্ষী মুখার্জী, সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র, দলের নেতা তাপস চক্রবর্ত্তী সহ অসংখ্য বাম নেতা কর্মীরা এদিন তাঁদের লড়াকু ‘কমরেডে’কে শেষ বিদায় জানাতে চোরকোল গ্রাম গিয়েছিলেন। গতকাল রাত বারোটা নাগাদ বাম নেতা মইদুল ইসলামের দেহ কলকাতা থেকে তাঁর গ্রাম চোরকোলা আনা হয়। সোমবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে ছিল পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়দের ভিড়। পুলিশের মারে মৃত্যুর কথা কেউ মানতেই পারেননি। তাঁদের দাবি ছিল, গরীব ঘরের সাধারণ ছেলেটার প্রাণ এভাবে অকালে ঝরে যেতে পারেনা। তাই মইদুলের মা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে আর্থিক নিরাপত্তার দিকটাই সরকারের কাছে বারবার দাবি করতে দেখা গিয়েছে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের। আত্মীয়দের দাবি ছিল, ‘কোনও রকমে টাকা ধার করে টোটো কিনেছিল মইদুল। সেই টাকাতেই চলত তাঁর পরিবারের পেট। ভিটে ছাড়া কিছুই নেই মইদুলদের। দুই মেয়ে ছাড়াও তাঁর একটি অনাথ ভাগ্নিও রয়েছে। তাকেও মইদুল মানুষ করছিল। গোটা পরিবারের একাই পুরুষ ছিল সে। এভাবে মইদুলের ওপর পুলিশ দিয়ে অত্যাচার হল কেন? তারই বিহীত চেয়েছে বামনেতার গোটা গ্রাম।’ স্বামী হারানোর শোকে বাম যুবনেতার স্ত্রী আলেয়া বিবি সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, ‘মমতার পুলিশই আমার স্বামীকে খুন করেছে।’