রাজ্য বিধান পরিষদ নিয়ে প্রস্তাব পেশ হতে চলেছে বিধানসভায়। আজ পেশ হবে এই প্রস্তাব। প্রস্তাব পাশ হলে তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। তারপর ছাড়পত্র পেলে লোকসভা ও রাজ্যসভায় দুই কক্ষে পাশ করাতে হবে। তারপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্যে যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই অনুমোদন আসলে তবেই রাজ্য চালু হবে বিধান পরিষদ। এই রাজ্যে ২৯৪ আসনের বিধানসভায় পরিষদে সর্বোচ্চ আসন হবে ৯৮। তবে কখনই ৪০ এর নীচে আসন হবে না।
রাজ্য আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট বা এক কক্ষবিশিষ্ট হতে পারে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার উচ্চকক্ষের নাম বিধান পরিষদ এবং নিম্ন কক্ষ বিধানসভা। ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই বিধান পরিষদের অস্তিত্ব নেই। পশ্চিমবঙ্গও এক কক্ষ বিশিষ্ট।বিধান পরিষদের গুরুত্ব ও ক্ষমতা কী?ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার কোনও অবস্থাতেই তা ৪০-এর কমও হবে না। বিধান পরিষদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ বছর। প্রতি ৬ বছর অন্তর বিধান পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া প্রতি ২ বছর অন্তর বিধান পরিষদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করে থাকেন।বর্তমানে ভারতের মোট ৭ টি অঙ্গরাজ্যে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার অস্তিত্ব আছে। সেগুলি হল, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং জম্মু ও কাশ্মীর।