‘বাবার থেকে টাকা নিইনি, নিজে ব্যাঙ্ক থেকে লোন করেছিলাম। বাকিটা আমি টিউশন করতাম কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ।’ আন্দোলন নিয়ে ‘বিপ্লবী’ ডাক্তারদের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়তেই সহজভাবেই অনিকেত চট্টোপাধ্যায়কে উত্তর দিলেন অভিনেতা তথা চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্টে অনিকেত চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘এক কোটি টাকা ডোনেশন দিয়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের বিপ্লবী মুখ। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।’ সেই পোস্টে কোনও নাম উল্লেখ না করলেও অনেকেই মনে করেছেন নাম না করে কিঞ্জল নন্দকেই নিশানা করেছেন পরিচালক। যদিও সেই পোস্টের উত্তর দিয়েছেন স্বয়ং কিঞ্জল নন্দও। তিনি লেখেন, ‘ইচ্ছে হল তাই লিখছি। অনেকেই অনেক কথা বলছেন, সত্য়িটা একটু বলা উচিত। যেহেতু অনিকেতবাবুকে আমি কিছুটা চিনি। আর উনি আমার সিনিয়র। সেই জায়গা থেকে শ্রদ্ধা জানিয়েই লিখছি। আমি যে বছর WBJEE দি, সেবছর আমাদের ওয়েস্ট বেঙ্গলে টোটাল সিট ছিল ৯০০র কাছাকাছি। তখন এত মেডিক্যাল কলেজ হয়নি। আমি র্যাঙ্ক করেছিলাম ৮৫৯ (জেনারেল)।কিছুটা শেষের দিকে জেলার কিছু মেডিক্যাল কলেজে চান্স পেয়েছিলাম। কিন্তু যেহেতু বাবা-মা একা থাকেন, আমি বাইরে যেতে চাইনি। বরাবরই আমি ঘরকুনো। তারপর কাউন্সিলিংয়ে আমি কেপিসিতে পাই। তখন কেপিসিতে গর্ভমেন্টের ৫০টা সিট ছিল। তারমধ্যে আমি প্রবেশ করি। ৫.৬ ইয়ারে আমার খরচ হয়েছিল ৫ লক্ষ। বিশ্বাস করুন, এই টাকা আমি বাবার থেকে নিইনি। নিজে ব্যাঙ্ক থেকে লোন করেছিলাম। বাকিটা আমি টিউশন করতাম কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ। বাবার শিক্ষা তো এমনই ছিল, যে বড় হয়েছো, নিজের খরচ নিজে চালাও। তাই হয়ত পড়াশোনা, টিউশন ও থিয়েটার নিয়েই থাকতাম। ডাক্তারি পাশ করার পর নিজে কাজ করি, সততার সঙ্গে পয়সা রোজগার করে লোন শোধ করেছি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের SBI ব্রাঞ্চ, খোঁচ নিলে জানতে পারবেন। আপনি পরিচালক, খুব নমনীয় ব্যক্তি, সাধারণ জীবনযাপন করেন, তাই আপনার কাছ থেকে একটু সত্যতা আশা করি। কষ্ট দিয়ে থাকলে মাফ করবেন। শ্রদ্ধা নেবেন। আমার বাবা-মা জীবনে একটাই জিনিস শিখিয়েছেন মানুষ হতে।’