ক্লিনজিং-এর সঠিক পদ্ধতিঃ
মুখের ত্বক ডেইলি পরিস্কার করাটা যে কতটা জরুরী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এই ক্লিনজিং এটার জন্য কী কসমেটিক ব্যবহার করা হচ্ছে তার চেয়েও বেশি নির্ভর করে আসলে ক্লিন্সিং কীভাবে করা হচ্ছে তার উপরে। জেনে নিন, ক্লিন্সিং আসলে কীভাবে করতে হয় এবং আপনি যা করছেন ঠিক করছেন কিনা??
প্রতিদিন ৩ বার স্কিন পরিস্কার করার চেষ্টা করুন। -সকালে, দুপুরে এবং রাতে।
কিন্তু, আপনার স্কিন যদি ড্রাই হয় তবে সকালে এবং রাতে ক্লিন করুন।
ধাপ-১
-প্রথমেই মুখের ত্বকের উপরে হামলে পড়বেন না! আগে সময় নিয়ে আপনার দুই হাত ধুয়ে নিন,
জী, আপনার হাত!! আপনি ময়লা হাত দিয়ে যত দামি ফেসওয়াশ আপনার ত্বকে ঘষুন না কেন আসলে মুখে গিয়ে লাগছে হাতে জমে থাকা রাজ্যের নোংরা, ময়লা!! সুতরাং, হাত পরিস্কার করার আগে মুখ ভুলেও ছোঁবেন না!! আমি সাধারন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হ্যান্ড ওয়াশ ইউজ করি হাত পরিষ্কারের জন্য।
ধাপ-২
– এবারে আপনার হাতে অল্প পরিমানে ফেসওয়াশ নিয়ে নিন। খুবই অল্প। নরমালি যেমন অনেকখানি করে হাতে ঢেলেই মুখে লাগিয়ে গায়ের জোরে ঘষা শুরু করেন তেমনটা ভুলেও করবেন না।
– এবার অল্প পানির সাথে দুই হাতের তালুতে ফেসওয়াশ ঘষে ফেনা তৈরি করুন। যেকোনো ফোমিং ফেসওয়াশেই নিচের ছবির মত ফেনা তৈরি হবে।
***** মনে রাখবেন মুখে ফেসওয়াশ লাগিয়ে চামড়ার উপরে ঘষে ফেনা বানানোর চেষ্টা করবেন না!! এতে স্কিনে অতিরিক্ত টান পড়ে চামড়া ঝুলে গিয়ে ফাইন লাইনস আর রিঙ্কেল পড়ার চান্স বেড়ে যায়!! অনেকেরই এই বদ অভ্যাস আছে জানি, কিন্তু আজ থেকে একদম বাদ দিন ফেস ওয়াশ মুখে মেখে অজথা ঘষাঘষি……
ধাপ-৩
– এবার হাতের ফেনা মুখে নিচের ছবির মত করে লাগিয়ে নিন।
– এবার ছবির মত করে আপনার দুই হাতের ৩য়, ৪র্থ এবং ৫ম আঙ্গুল দিয়ে আস্তে আস্তে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পুরো মুখে ফেনা ম্যাসাজ করুন।
**** কোনভাবেই একহাতে কাজটি করার চেষ্টা করবেন না, ২য় আঙ্গুল অথবা মধ্যমা ব্যবহার করবেন না কারণ এই আঙ্গুলটি অনেক শক্তিশালী!! স্কিনে অযথা টান দিয়ে ড্যামেজ করায় এর জুড়ি নেই!