শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে বাম ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ দেখায়। আগুন ধরে শিক্ষাবন্ধু সমিতির অফিসে। ব্রাত্য বসুর গাড়ির তলায় চাপা পড়ে এক ছাত্র। দাবি ওঠে ব্রাত্য বসুর গ্রেফতারের। সেই ইতিহাস কাটিয়ে যখন কিছুটা স্থির হয়েছে ইউনিভার্সিটি ঠিক তখন মঙ্গলবার আগুন ধরানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এক ছাত্রকে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌপ্তিক চন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার সন্ধেয় জানায় পুলিশ। ছাত্রের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মিছিল করে এসে যাদবপুর থানার বাইরে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। পরীক্ষার মুখে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে গ্রেফতারির দাবি তুলছেন তারা। পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন বিক্ষোভকারীদের।
এদিকে বিক্ষোভের জেরে বিকেল থেকেই অবরুদ্ধ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের সংযোগস্থল। ঘুরপথে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যাদবপুর থানার সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ। আগেভাগেই ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। বিকেল গড়িয় সন্ধেতেও ঘটনাস্থলে তুমুল উত্তেজনা। ধৃত পড়ুয়াদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এর আগে ‘শিক্ষা বন্ধু’-র অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া সৌম্যদীপ মাহাত ওরফে উজানকে। মঙ্গলবার পুলিশ হেফাজত শেষে তাঁকে আলিপুর আদালত জামিনে মুক্তি দেয়। গত বুধবার প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়াকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল যাদবপুর থানায়। পুলিশের দাবি, ‘শিক্ষা বন্ধু’-র অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল সৌম্যদীপকে।