আমার মনে হচ্ছিল আমি মাঠে আরও এক ব্রাজিলিয়ান বন্ধুকে হারাতে চলেছি।’ আতঙ্কিত ডগলাস ডি সিলভা ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ দেখে এমনভাবেই লিখলেন সমাজমাধ্যমে। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে আজও যেন টাটকা ব্রাজিলিয়ান জুনিয়রের মৃত্যু। ২০০৪ সালের ৫ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপ ফাইনালে ডেম্পোর হয়ে দ্বিতীয় গোল করার পরেই মোহনবাগানের গোলকিপার সুব্রত পালের আঘাতে মাঠে লুটিয়ে পড়েন জুনিয়র। জ্ঞান হারান। সেই জ্ঞান আর ফেরেনি। এদিনও তেমনকিছু হতে পারত। বলের লক্ষ্যে ক্লেটনকে আসতে দেখে হায়দরাবাদের গোলকিপারও জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তার পরে বিপজ্জনকভাবে পা এগিয়ে বলটা ধরেন হাত দিয়ে। বেপরোয়াভাবে অর্শদীপের পা চালানোর ফলে আহত হন ক্লেটন। তাঁর পেটের নীচে বুটের স্টাডের দাগ পড়ে যায়। লাল হলুদের প্রাক্তন তারকা ডগলাস লেখেন, ‘অন্য কোনও দেশে এই গোলকিপারকে লাল কার্ড দেখানো হত এবং নিশ্চিতভাবেই ১০ ম্যাচেরও বেশি নির্বাসিত করা হত।’ অথচ এদিন পুরো বিষয়টাই রেফারির নজর এড়িয়ে যায়। না লাল কার্ড! না পেনাল্টি! আর একবার রেফারি বঞ্চনার শিকার হতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।