বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের পরিবর্তে নিয়োগ করা হয়েছিল প্রবীণ আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভারকে। কিন্তু তার পরে কোনো আজ্ঞাত কারণে তিনি বিচার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ান। এ দিন বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে বৃন্দা গ্রোভারের টিমের পক্ষ থেকেই৷ মঙ্গলবারও প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সওয়াল করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অন্যতম সিনিয়র এই আইনজীবী৷ তার পরের দিনই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি৷ বিনা পারিশ্রমিকেই এই মামলা লড়ছিলেন তিনি৷ হঠাৎ কেন বৃন্দা গ্রোভার এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷ উঠেছে নানা প্রশ্ন। তবে একটা প্রশ্ন সামনে আসছে যে সিবিআইয়ের তদন্তের মন্থর গতি নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার বাবা ও মা। এই নিয়ে আইনজীবীর সঙ্গে তারা সহমত পোষণ করেন নি।
বৃন্দা গ্রোভারের টিমের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আরজি কর মামলার বিচার প্রক্রিয়া নিম্ন আদালতে শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তা ঠিক পথে এগোচ্ছে বলেই মনে করছেন বৃন্দা গ্রোভার৷ সেই কারণেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি৷ যদিও অন্য একটি সূত্রের আবার দাবি, মামলা সংক্রান্ত কয়েকটি বিষয় নিয়ে বৃন্দা গ্রোভার এবং তাঁর সহকারীদের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের মত পার্থক্যের সৃষ্টি হয়৷ সেই কারণেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বৃন্দা৷ এখন দেখার এবার বিচার কোন পথে যায়? নাকি আবার তা ‘তারিখ পে তারিখ’-এ পরিনত হয়।