আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমপর্ন করেছে গরুপাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল হক। এদিন কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে সকাল সকাল এনামূলকে আদালতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করার পর কোভিড পজেটিভ হয়ে যাওয়ায় বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তী করা হয়। এরপর দু-দুবার কোভিড পজেটিভ আসে এনামূলের। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় নেগেটিভ হওয়ার ৬ দিনের মাথায় তাকে আত্মসমর্পন করার। সেই মত শুক্রবার আসানসোল সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পন করে এনামূল। অন্যদিকে দশদিন জেল হেপাজতের পর এদিন সিবিআই আদালতে তোলা হয় বিএসএফ কম্যানডেন্ট সতীশ কুমারকে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এনামূলকে হেফাজতে চাইবে সিবিআই। একইসঙ্গে সতীশকুমারকেও সিবিআই হেপাজতে চাইবে। তারপর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা হবে দুজনকে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার আসানসোল কোর্টে এসে নিজেই ধরা দেন গরুপাচারকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে তাঁদের হেফাজতে নেবেন বলে আবেদন করা হবে এমনটাই সূত্রের খবর। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এনামুলের সঙ্গে বিএসএফ আধিকারিকদের একটি সিন্ডিকেটের যোগাযোগ ছিল। কোটি কোটি টাকা দেওয়া হত ঘুষ হিসেবে বলে জানা যাচ্ছে সিবিএই সূত্রে। মামলার প্রয়োজনে এরপর বিএসএফ আধিকারিকদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। গত সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সিবিআই কলকাতা শাখা অফিসে গবাদি পশু পাচার নিয়ে আলাদা একটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। এনামুলের সঙ্গে যোগসাজশ থাকার অভিযোগে তারপরেই বিএএফ কম্যান্ডাট সতীশ কুমারের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।