প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেও বেনেটের সামনের রাস্তা একেবারে খাড়াই। বিশেষত তাঁকে রাজনৈতিকভাবে ডানপন্থী, বামপন্থী এবং মধ্যপন্থী দল নিয়ে গঠিত জোট সরকার টিকিয়ে রাখতে হবে। কাজটা যে কঠিন হতে চলেছে, সেই আভাস রবিবারই পেয়ে গিয়েছেন বেনেট। সংসদে ৬০-৫৯ ভোটের ব্যবধানে জিতে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার সুযোগ পেয়েছেন। যিনি আগে নেতানিয়াহুর চিফ অফ স্টাফ ছিলেন। তাঁর দল ইহুদি এবং ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের বাসিন্দাদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়।
তারইমধ্যে ইজরায়েলের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। টুইটারে তিনি বলেন, ‘আমাদের দু’দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক শক্তিশালী করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বেনেটের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।’ জি-৭ গোষ্ঠীর সম্মেলনের পর তিনি জানান, ইজরায়েলি, প্যালেস্তাইনি এবং সংলগ্ন এলাকার মানুষের মধ্যে সুরক্ষা, স্থিরাবস্থা এবং শান্তি বজায় রাখতে দু’দেশ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে বলে আশ্বাস দেন বাইডেন।
রবিবারের ভোটের ফলে অবশ্য দু’বছরের রাজনৈতিক সংকটে সাময়িকভাবে ইতি পড়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ইজরায়েলে মোট চারবার ভোট হয়েছে। তাতে মূলত নেতানিয়াহুর বিভেদমূলক শাসন এবং দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে সরকার চালানোর নৈতিকতার বিষয়ে সেই ভোটগুলি হয়েছিল। অবশেষে রবিবার ক্ষমতাচ্যুত হলেও ৭১ বছরের নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছেন, কুর্সি হারালেও রাজনীতিকে বিদায় জানানোর কোনও সম্ভাবনাই নেই। তিনি বলেন, ‘যদি ভাগ্যে লেখা থাকে যে আমরা বিরোধী হব, তাহলে আমরা শিরদাঁড়া সোজা রেখে সেই কাজ করে যাব। যতক্ষণ না আমরা এই বিপজ্জনক সরকারকে উৎখাত করছি এবং দেশের ক্ষমতায় ফিরছি।’