শনিবার ভোরে জয়নগরের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানালেন, অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেননি ধৃত যুবক।
শুক্রবার রাতে জয়নগরের মহিষমারি এলাকায় একটি জলাভূমি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ন’বছরের শিশুর দেহ। অভিযোগ উঠেছিল, শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই রাতেই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে। এবং ১৯ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু মহিষমারি এলাকায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে উত্তেজিত জনতা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, রাতে শিশুর পরিবার মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে শিশু নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। কিন্তু প্রথমে তাদের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। জয়নগর থানায় যেতে বলেছিল পুলিশ, দাবি পরিবারের। পুলিশের গাফিলতির কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে তাঁরা যদি তৎপরতার সাথে শিশুটির খঁজে করতো তাহলে হয়তো তাকে বাঁচানো যেত এমনটাই দাবি শিশুটির পরিবারের। ফলে শনিবার সকাল থেকেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। তার পর থানায় ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। মহিষমারির পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ডাকা হয় দমকল। লাঠিচার্জও করেছে পুলিশ। ছোড়া হয়েছে কাঁদানে গ্যাস।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয়দের বিক্ষোভে ১২ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। যেখান থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। এসপি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের পুলিশের পুরো টিম এখানে আছে।’’পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে এসপি বলেন, ‘‘এখানে মহিষমারি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। আমরা রাত ৯টা নাগাদ খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করি। কোথা থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল, কে শেষ বার তাকে দেখেছিল, এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল তখনই। সাধারণত কোনও শিশু নিখোঁজ হলে অপহরণের মামলা রুজু করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল। রাতে অভিযুক্তকে চিহ্নিতও করা হয়। জয়নগর থানায় সাড়ে ১২টা নাগাদ মামলা রুজু হয়েছে। তিন-চার ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অপরাধের কথা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। পুলিশ প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করেছে। তার পরেও এলাকায় ক্ষোভ কেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশের কেউ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন এসপি। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত