অক্টোবরে বিজেপির নবান্ন অভিযানের ছবি গত সোমবার ফিরল উত্তরবঙ্গে। শিলিগুড়ি থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সোমবার বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে সকাল থেকেই তেতে ছিল শিলিগুড়ি। আগাম সতর্কতা হিসাবে শিলিগুড়ি শহরের প্রায় সব কটি প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। তিনবাতি মোড়ে জারি হয় ১৪৪ ধারা। তা উপেক্ষা করেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকেন বিজেপি কর্মীর। মিছিল আটকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। জলকামানও ব্যবহার করা হয়। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন বিজেপিকর্মীরা। ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। বিজেপির অভিযোগ, কর্মীদের উপর লাঠি চালানো হয়। হেনস্থা করা হয় মহিলা কর্মীদের। অভিযানে এক দলীয় কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষকরা। কৃষকদের ডাকা বনধকে পরোক্ষ সমর্থন করেছে তৃণমূল। তাই রাজ্যে বনধের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতি নিজেদের দিকে ঘোরাতে রাজভবনে রাজ্যপালের কাছে গেলেন বিজেপি প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা জানালেন মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ করবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই কৃষকদের ডাকা ভারত বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। কংগ্রেস, আপ, টিআরএস, এনসিপি এবং বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলিও সমর্থন জানিয়েছে।সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গে আজকে পরিস্থিতি কি হয়, সেদিকেই থাকবে নজর।