উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। চামোলি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে আরও মৃতদেহ। মঙ্গলবার অলকানন্দ নদী থেকে আরও পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩১। তারইমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্র এবং রাজ্য।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) মুখপাত্র প্রবীণ অলোক বলেন, ‘মঙ্গলবার বেলা পর্যন্ত ৩১ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নদী থেকে পাঁচটি দেহ পাওয়া হিয়েছে। মৃতদেহের জন্য জন্য লাগাতার নদী এবং নদীগর্ভে খোঁজ চালিযে যাচ্ছে এসডিআরএফ।’ তিনি জানান, ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের (এনটিপিসি) প্রকল্পের একালায় ১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে ৩৫ জন শ্রমিক আটকে আছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ১৮৫ জন নিখোঁজ মানুষকে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ড পুলিশের তরফে তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৭৩ জন বাঁধের এলাকার শ্রমিক। অধিকাংশের বাড়ি উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। এছাড়াও ১২ জন গ্রামবাসী এবং দু’জন পুলিশকর্মীর খোঁজ মিলছে না। একইসঙ্গে জোশীমঠ লাগোয়া এলাকার ২,৫০০ জন গ্রামবাসীকে আকাশপথে খাবার এবং ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে।
তারইমধ্যে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘(উত্তরাখণ্ডের) পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা। ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) ৪৫০ জন জওয়ান, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) পাঁচটি দল, ভারতীয় সেনার আটটি দল, ভারতীয় নৌহাবিনীর একটি দল এবং ভারতীয় বায়ুসেনার পাঁচটি হেলিকপ্টার উদ্ধার এবং তল্লাশি অভিযানে যুক্ত আছে।’ তিনি জানান, চলতি অর্থবর্ষে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের আওতায় প্রথম কিস্তির ৪৬৮ কোটি টাকা উত্তরাখণ্ডে অনুমোদন করা হয়েছে। সুরক্ষা এবং পুনর্বাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে।