হিমবাহ ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়ের পরে কেটে গেছে ১৫ দিন, এখনও বিরাম নেই দেহ উদ্ধারের। আজ, রবিবার জানা গেছে, আরও পাঁচটি দেহ উদ্ধার হয়েছে উত্তরাখণ্ডের তপোবন জলবিদ্যুত প্রকল্পের সুড়ঙ্গ থেকে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭। জানা গেছে, শনিবার সন্ধেয় তিন জন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হয় বাঁধের কাছ থেকে। গভীর রাতে পাওয়া যায় আরও দু’জনকে। এখনও কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ দিন আরও দেহ উদ্ধারের পর উদ্ধারকাজের গতি আরও বাড়ানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। প্রায় আড়াই কিলোমিটার লম্বা টানেল। আইটিবিপি-র জওয়ানরা বলছেন, ‘ইউ’ আকৃতির সুড়ঙ্গটা প্রায় ১২ থেকে ১৫ ফুট হবে। ভেতরে বন্যার জলের মাটি, পাথর, কাদা জমে পথ আরও দুর্গম করে তুলেছে। কোথায় খাদ তৈরি হয়েছে বোঝা যাচ্ছে না। তার ওপর সুড়ঙ্গের মাথায় কংক্রিটের পাথর ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। বন্যার জলের তোড়ে মাটি নরম। যখন তখন টানেলের ছাদ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়তে পারে। বিপদ মাথায় নিয়েই ভেতরে আটকে থাকা বিপন্ন মানুষগুলোকে খুঁজে চলেছেন জওয়ানরা।এ মাসের ৭ তারিখে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার জোশীমঠের কাছে নন্দাদেবী হিমবাহ ফেটে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের জেরে ভেসে গিয়েছে একের পর এক গ্রাম। রেনি গ্রামে জলবিদ্যুত্ প্রকল্প-সহ ওই এলাকার ৪টি ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়েছে। এনটিপিসি-র জলবিদ্যুত্ প্রকল্পের দুটি সুড়ঙ্গে অনেক শ্রমিক কাজ করছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগই ভেসে গিয়েছেন জলের তোড়ে। দেহ উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক। এখনও অন্তত ১৪০ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে।