গত ২৪ ঘণ্টায় তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। একটানা ভারী বৃষ্টির জেরে বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তিরুভাল্লুরের পরে মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন সোমবার কাঞ্চি এবং চেন্নাইয়ের বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন।ত্রাণ বণ্টন, পুনর্বাসনের কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবারও রাজ্যের একাংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজ্যে প্রবল এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। দুর্গত এলাকাগুলিতে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে চলা ত্রাণ শিবিরগুলিতে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনের তরফে খাবার, ওষুধ বিলি করা হচ্ছে ত্রাণ শিবিরগুলিতে। করোনাকালে প্রবল এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ঘোর বিপাকে তামিলনাড়ু সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকমভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের ১৯ জেলায় স্কুল ও কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, চেন্নাই, তেনকাসি, থেনি, ডিন্ডিগুল, মায়িলাদুথুরাই, নাগাপট্টিনাম, বিরুধুনগর, তিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপেট, কাল্লাকুরিচি, কন্যাকুমারী, তিরুনেলভেলি, থুথুকুডি, ভিলুপুরম, কুদ্দালোর, তিরুভাউর, থানজাভুর জেলার স্কুল এবং কলেজে সোমবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
তামিলনাড়ুর পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পুদুচেরিও। একটানা বৃষ্টিতে পুদুচেরির বিস্তীর্ণ প্রান্ত জলমগ্ন। বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় পুদুচেরির স্কুল ও কলেজগুলিতে সোমবার এবং মঙ্গলবার ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন।