রাত পোহালেই ২১ জুলাই। ২১ জুলাই থাকবে চমক সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন কুনাল। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিলেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। অখিলেশ যোগ দেবেন ২১ জুলাই-এর জন সভায়। কিছু দিন আগেই মুম্বাই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই সময় তিনি দেখাও করেন অখিলেশের সঙ্গে।
সূত্র অনুযায়ী, মমতা আর অখিলেশের মধ্যে মুম্বইয়ে যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়েছিল, সেই সময়েই মমতা অখিলেশকে আমন্ত্রণ জানান একুশে জুলাইয়ের সভায় যোগ দিতে। সেই ডাকেই সাড়া দিয়ে রবিবার অর্থাৎ ২১ জুলাই সকালেই লক্ষ্মৌ থেকে কলকাতায় চলে আসছেন অখিলেশ। একুশের সভায় মমতার পাশেই দেখা যাবে এই তরুণ নেতাকে। তবে এই ঘটনায় এখন বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে নিঃশব্দে বার্তা গিয়েছে কংগ্রেসের কাছেও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অখিলেশের এই কলকাতা সফরে চাপে পড়তে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসকেও। মমতা বন্দোপাধ্যায় সর্বদাই বিজেপির বিরোধী জোটের অন্দরে কংগ্রেসের ঔদ্ধত্বকে নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে যেমন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকেও সরব হয়েছেন তেমনি সরব হয়েছেন তৃণমূলের মঞ্চ থেকেও। কার্যত মমতা বরাবরই চেষ্টা চালাচ্ছেন জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে বিশেষ করে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এমন একটা আঞ্চলিক জোটকে ক্ষমতায় আনতে যার নিয়ন্ত্রণ কংগ্রেসের হাতে থাকবে না। সেই কারণেই তিনি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যান্য শরিক দল যেমন সপা, এনসিপি-শরদ, শিবসেনা-উদ্ধব, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ডিএমকে, জেএমএম – এদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখেন এবং এদের নেতানেত্রীদের সঙ্গেও ব্যক্তিগত স্তরে যোগাযোগ রেখে চলেন। তবে এদের সকলের থেকে অখিলেশের সঙ্গেই মমতার সম্পর্ক সব থেকে ভাল সেটা জানা কথা। সেই সুদৃঢ় বন্ধনের প্রতীকই হয়ে উঠতে চলেছে রবিবারের একুশের সভা। একই মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দেবেন মমতা আর অখিলেশ।