এক ঘুষিতেই ঠান্ডা! প্যারিস অলিম্পিকের মহিলা বক্সিংয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বক্সার ইমানে খেলিফ। তিনি পুরুষ নাকি মহিলা নাকি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ! এতদিনে হল পর্দাফাঁস। খেলিফের শেষ মেডিকেল রিপোর্ট সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। খেলিফে নাকি মহিলা নন, আদপে পুরুষ। বিস্ফোরক এই রিপোর্টই ফাঁস করেছেন ফরাসি সাংবাদিক জাফর আইত অদিয়া। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, খেলিফ এমন এক অবস্থার শিকার যেখানে শারীরিক যৌন বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়। এর ফলে লিঙ্গ নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়। এটা সাধারণত জেনেটিক পুরুষদের মধ্যেই পাওয়া যায়। যেখানে খলিফের জরায়ু ছিল না, বরং তাঁর অভ্যন্তরীণ অন্ডকোষ ও একটি ‘মাইক্রোপেনিস’ ছিল। রিপোর্টটি হয়েছে ২০২৩ সালের জুন মাসে প্যারিসের ক্রেমলিন-বিসেট্রে হাসপাতাল ও আলজিয়ার্সের মহম্মদ লামিনে দেবাঘিনে হাসপাতালের সহযোগিতায়। অলিম্পিকে ওয়েল্টেরওয়েটের শেষ ষোলো রাউন্ডে ইতালির বক্সার অ্যাঞ্জেলা কারিনিকে দুটো পাঞ্চেই কুপোকাত করে দেওয়ায় বিতর্কের শিরোনামে উঠে আসেন খলিফে। গত বছর লিঙ্গ পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় ২০২৩-এ বক্সিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সোনার মেডেলের ম্যাচের আগে তাঁকে বহিষ্কার করে বিশ্ব বক্সিং সংস্থা। অথচ তাঁকেই অলিম্পিকে মেয়েদের বিভাগে অবলীলায় ছাড়পত্র দিয়ে দেয় আইওএ। সহজে জিতে নেন অলিম্পিক সোনা।