এনজেপি এলাকার স্থলবন্দরে হামলার ঘটনায় পলাতক প্রসেনজিৎ রায়কে সোমবার দুপুরের পরে অসম পুলিশের সাহায্যে গ্রেফতার করে শিলিগুড়ি পুলিশ। এ দিন তাঁকে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হল। মঙ্গলবার অসমের তিনসুকিয়া থেকে গুয়াহাটি হয়ে বিমানে বাগডোগরায় নিয়ে আসা হয় বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে। বিমানবন্দর থেকে বার করার সময় রাজ্য সরকার, পুলিশ বা দলের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি প্রসেনজিৎ। উল্টে, গ্রেফতারের পর সরকারি সিদ্ধান্তের পক্ষেই কথা বললেন তিনি। বিমানন্দরে তিনি বলেন, ‘‘আমার এলাকায় ঘটনা ঘটেছিল।
যা হয়েছিল ভাল হয়নি। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের বিষয়। তাই দল যা মনে করেছে, করছে। আমি তা এর দায় এড়াতে পারি না।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে অসমের সাপকাটিতে মামাবাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন প্রসেনজিৎ। দেওচড়াই, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড় এবং শিবসাগর জেলায় গাড়ি নিয়ে ঘুরেওছেন। সন্দেহজনক গতিবিধির খবর অসম পুলিশের কাছেই পৌঁছয়। এর পরে শিলিগুড়ি থেকে পুলিশের দল অসমে যায়। সোমবার সকালে ফের মামাবাড়িতে ঢুকে সাদা রঙের একটি গাড়ি নিজেই বার হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড করে তাঁকে ধরা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ৪ অক্টোবর শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে স্থলবন্দরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। প্রসেনজিতের নেতৃত্বে স্থলবন্দর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনাচক্রে সেদিন স্থলবন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে উত্তরকন্যায় ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশ-প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এনজেপি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি প্রসেনজিতকে দল বহিষ্কারও করে।