এবার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনসিটিই)। সেজন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে এনসিটিই-গঠিত একটি কমিটি।
এমনিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পশ্চিমবঙ্গে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে (টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট) নেওয়া হয়। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেওয়ার দায়িত্ব আছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হাতে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত টেট নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। নবম শ্রেণি থেকে টেট নেওয়া হয় না। বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করে এসএসসি।
তবে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনসিটিই জানিয়েছে, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত টেট বা কেন্দ্রীয় টেট নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখতে এবং টেট আয়োজনের নির্দেশিকা তৈরি করতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের গত ২৩ অক্টোবরের চিঠিতে উল্লেখিত ১৪৫ নম্বর ধারার প্রেক্ষিতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এনসিটিইয়ের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা হয়েছে। টেট বাধ্যতামূলক হলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রার্থীদের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা দিতে হবে কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। একইসঙ্গে রাজ্যের কোন সংস্থা সেই টেট নেবে নাকি নয়া কোনও সংস্থা গঠন করা হবে নাকি পুরো টেট আয়োজনের দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে, সে বিষয়ে আপাতত কোনও উত্তর মেলেনি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেইসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির থেকে টেট সংক্রান্ত তথ্য এবং পরিসংখ্যান চাওয়া হয়েছে।