আগেরদিন ছিল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি। এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পিছনে পর্দায় কোচবিহার রাজবাড়ির ছবি দেখা গেল। সঙ্গে বেজে উঠল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুই দেশের বৈঠকে প্রতিনিধিদের পিছনে জাতীয় পতাকার ছবি থাকে। গত সপ্তাহে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে সেই রেওয়াজ ভেঙেছিলেন মোদী। তাঁর পিছনে ছিল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি। এবার হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কোচবিহার রাজবাড়িকে বেছে নিয়েছেন মোদী। যদিও হাসিনার পিছনে ঐতিহ্য মেনে শুধু ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা ছিল। তবে সেখানেই শেষ হয়নি। একেবারে বাঙালির বেশে ধুতি ও পঞ্জাবি পরে বৈঠকে হাজির ছিলেন। একইসঙ্গে একাধিক প্রকল্প উদ্বোধনের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘একলা চলো রে’ বেজে উঠল।
তবে মোদীর এই বঙ্গ ‘প্রেম’ নতুন নয়। গত কয়েক মাস ধরেই কখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কখনও কবি মনমোহন বসুর কথা উল্লেখ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন, কখনও বিশ্বকবির উক্তি শুনিয়েছেন। সেই কবিতা আবৃত্তির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য যথেষ্ট ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু তাতে দমেননি মোদী। বরং স্বামী বিবেকানন্দের শরণে গিয়েছেন। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রসঙ্গে মোদীর মুখে ঋষি অরবিন্দের নাম শোনা গিয়েছে। ‘লোকাল ফর ভোকাল’ তথা স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের জন্য কবি মনমোহন বসুর কবিতাও হিন্দিতে শুনিয়েছিলেন।