এবার অফিসার এবং কর্মীদের জন্য কড়া নির্দেশ জারি করল নবান্ন। সপ্তাহে কাজের দিনগুলিতে সব অফিসার এবং কর্মীদের হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কারণ এই দফতরের কর্মী ও অফিসাররা অযথা ছুটি নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ। আবার কাজের সময় অনেকক্ষণ তাঁদের পাওয়া যায় না। এই দফতরটি স্বরাষ্ট্র সচিবের অধীনস্থ।
কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারি অফিসগুলিতে রোজ ২৫ শতাংশ কর্মী হাজিরার নির্দেশ রয়েছে। সেখানে তা থাকছে না বলে অভিযোগ। অনেকেই নির্দেশের পরও অফিসেই আসছেন না। উপস্থিতি একেবারেই অনিয়মিত। য়ার্ক ফ্রম হোম করছেন নানা অজুহাতে। আবার অনেকে সময়ের আগে বাড়ি চলে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। যার জেরে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আনা, চিঠি তৈরির মতো লোকও পাওয়া যাচ্ছে না।
যেখানে কর্মদিবাস বাড়ার কথা এই কিছু অফিসার ও কর্মীর দৌলতে তা কমে যাচ্ছে। স্থায়ী–অস্থায়ী কর্মীদের উপস্থিতিও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অফিসার–কর্মীদের গরহাজিরায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ নবান্ন। কারণ এখন স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে। নিয়মিত চালু হয়েছে মেট্রো। বাস পরিষেবাও স্বাভাবিক। সেখানে গরহাজির নিয়ে নালিশও ঠুকেছেন সরকারি আধিকারিকরা। এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে জারি করা হল সরকারি নির্দেশিকা।
সরকারি এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কাজের সময় অফিসারদের পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ চা খাওয়ার নাম করে বেরিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে কাটিয়ে আসছেন। কোনওদিন অফিসমুখোই হচ্ছেন না। তাই কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের সকল অফিসার, কর্মী এবং অস্থায়ী কর্মীদের সব কর্মদিবসে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।