একুশের আগে সারদা মামলা নিয়ে ফের সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। নির্বাচনের আবারও সারদা মামলার খাতা খুলেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি সচিব তথা কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে ফের জেরা করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই ।
সারদা মামলার তদন্তের জন্য এই আবেদন বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। আর এবার সারদা মামলায় মুকুল রায়কে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । সিবিআই সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা আবেদনেপত্রের সঙ্গে সংযোগ করা হয়েছে কুণাল ঘোষ, দেবযানী মুখোপাধ্যায়সহ একাধিক অভিযুক্তের বয়ানের কপিও। সিবিআইয়ের আবেদনপত্রে উল্লেখ করা কুণাল ঘোষের ইডিকে দেওয়া বয়ানের বিষয়ে জানা গিয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিশেষ একটি দলের সমর্থনে টাকা দিয়েছিল সারদা ও অ্যালকেমিস্ট।
সেই সময় ২০৫ জন প্রার্থীর প্রত্যেককে ২৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল বলেও জানান কুণাল ঘোষ। এবং এই টাকা বিলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মুকুল রায় ও রজত মজুমদারকে বলেও জানান কুণাল ঘোষ বলে সূত্রের খবর। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গিয়েছে যে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, রাজীব কুমার নিরপেক্ষ ভূমিকা নিলে এই অবস্থা হত না। রাজীব কুমার বহু প্রভাবশালীকে ছাড় দেন বলেও অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ বলেও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি কুণাল ঘোষের আরও অভিযোগ, রাজীব কুমারের পুলিশ অত্যাচার করেছে তার উপর বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এর পিছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র বলেও অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ বলেও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সূত্রের খবর হিসেবে জানা গিয়েছে, কুণাল ঘোষ আরও জানিয়েছেন এখন ষড়যন্ত্রকারীরা অনেকেই বিজেপি শিবিরে রয়েছেন।এছাড়া, অবিলম্বে এই মামলায় মুকুল রায়কে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ।
সবাই যে ঠিক বলছে তা তো নয়’ বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাশাপাশি তার মন্তব্য, কুণাল ঘোষ তো অনেকের নামই বলেছিলেন। অন্যদিকে, রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সারদার তদন্ত করতে গঠিত সিটের দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন রাজীব কুমার। সেই সময় সারদার অফিস বা নানা ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি ডায়েরি, ক্যাশ বুক উদ্ধার করেছিল সিট। তা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেননি রাজীব কুমার বলে অভিযোগ সিবিআই-এর । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই ক্যাশবুক ও ডায়েরিতেই লেখা ছিল প্রভাবশালীদের কথা বলেও জানা গিয়েছে।