সারা দেশ বার্ড ফ্লু’তে ত্রস্ত। করোনার মধ্যে এই নয়া রোগের জেরে দেশজুড়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নিজের পোলট্রি ফার্মে কড়কনাথ মোরগ ও মুরগি প্রতিপালন করছেন। বার্ড ফ্লু’র মারাত্নক প্রভাব পড়েছে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ার কড়কনাথ মুরগির ওপরেও। এখানকার প্রায় ২০০০ কড়কনাথ মুরগির ওপরে প্রভাব পড়ে বার্ড ফ্লু’র। এই ঝাবুয়ার থেকেই কড়কনাথ মুরগির অর্ডার দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।এরফলে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ধোনির ফার্মের অন্তত আড়াই হাজার কড়কনাথ মুরগিকে মেরে ফেলা হতে পারে।
একথা কারোর অজানা নয় যে কড়কনাথ মুরগিতে প্রচুর পরিমাণে মাংস পাওয়া যায়। আর দেশে সবচেয়ে দামি মুরগির ডিমও এই কড়কনাথেরই। সদ্য সদ্যই ধোনি পোলট্রি ফার্মিং-এ এসেছেন।
কড়কনাথ প্রজাতির মুরগি যারা ডিম দেয় তাদের দাম বাজারে ৩ থেকে ৪ হাজার হয়। যদি মুরগি-র ছানা থেকে মুরগি তৈরি করা হয় তাহলে ৬-৭ মাসে সেটা ডিম দেওয়ার মতো তৈরি হয়ে যায়। সারা দেশে কড়কনাথ মুরগির ছানা-র দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা হয়। কোটা, রাজস্থানে কড়কনাথ মুরগির ব্যবসায়ীর মতে বাজারে এই মুরগির মাংস ডিমের চাহিদা বেশি ,তুলনায় যোগান কম তাই এই মুরগির কোনও কিছুরই কোনও ফিক্সড রেট নেই। এই মুহূর্তে একটি কড়কনাথ মুরগির ডিমের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা হয়।
অন্যদিকে পোষক গুণে ভরপুর এই মাংসের দাম প্রতি কিলো ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা প্রতি কিলো হয়। আর মোরগের দাম হয় ১৪০০ -২০০০ টাকা প্রতি কিলো।
বার্ড ফ্লু হলে পোলট্রি মালিকরা ৫ দিন পরে মুরগীদের মেরে দেয়। কড়কনাথ মুরগির ডিমে পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। তবে এই তথ্যের কোনও প্রমাণ নিউজ ১৮-র কাছে বিজ্ঞানসম্মতভাবে নেই। এতে প্রোটিন বেশি ও কোলেস্টরল কম তাই হৃদরোগীরা এই ডিম খেলে ক্ষতি কম। এই মুরগির মাংস ও ডিমের অনেক গুণ কথিত থাকায় এই মুরগি এত দামে বিক্রি হয়।