কলকাতা পৌরনিগমের খেলায় মেলায় বেশ অনেকটাই খরচ হয় যায়। ফলে ভাঁড়ে মা ভাবনী অবস্থা। অথচ আয় বাড়ানোর কোনো উপায় নেই। এই পরিস্থিতিতে গভীর সংকটে পৌরনিগম। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত প্রায় সাড়ে চৌদ্দ হাজার ১০০ দিনের কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মজুরি বাবদ মাসে প্রায় আট থেকে নয় কোটি টাকা ব্যয় হয় পুরসভায়। অভিযোগ, বিগত আড়াই মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না এই সকল একশো দিনের কর্মীরা। ফলে আতান্তরে পড়েছেন তাঁরা। কারণ, মাস পিছু ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা হাতে পেয়ে থাকেন। তবে, বর্তমানে সেই টাকাও পাচ্ছেন না। পুরনিগম সূত্রে খবর, অর্থসঙ্কট এতটাই যে পুরসভার বিভিন্ন প্রকল্প স্থগিত রাখতে হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে ভোট রাজনীতির কারণে ‘জলকর’ বা অন্যান্য কিছু কর পৌরনিগম নিচ্ছে না।
সূত্রের খবর, পুরসভার স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিতে মাসে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা খরচ হয়। প্রায় ১৮ হাজার স্থায়ী কর্মীর জন্য খরচ হয় ৭৮ কোটি। অস্থায়ী প্রায় ২০ হাজার কর্মীদের জন্য খরচ হয় ১৫ কোটি। আর প্রায় ৩৫ হাজার অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের জন্য় পুরসভার খরচ হয় মাসে খরচ ৪০ কোটি। এর মধ্যে স্থায়ী কর্মীদের বেতনের ৮৫ শতাংশ রাজ্য সরকার বহন করে। বাকি ১৫ শতাংশ পুরসভাকে বহন করতে হয়। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের বেতন পুরটাই পুরসভাকে বহন করতে হয়। এদিকে জঞ্জাল পরিষ্কার নিয়মিত হচ্ছে না। মেয়ের ফিরহাদ হাকিম বলছেন, “পৌরসভায় আগে যাঁরা ছিলেন, বিকাশদারা জমি বেচে অর্থনীতি সামাল দিয়েছেন। আর আমরা আন-অ্যাসেস্ট জমিগুলো ঠিক করে অর্থনৈতিক ঠিক করার চেষ্টা করছি। ট্যাক্স না বাড়িয়েও পুরনিগমের খরচা বাঁচানোর চেষ্টা করছি।” বিরোধী কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “নর্দমার পাঁক তুলছে। সেই তোলার বিনিময়ে দৈনিক ২০০টাকা না পায় তাহলে কীসের জন্য তাঁরা কাজ করবে? ওরা রোজ জিজ্ঞাসা করে দাদা মাইনে কোথায়? কী বলব?”