দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ার পর গেরুয়া পাগড়ি পরে দেখা গিয়েছিল কিছু পোস্টার–ব্যানার। পাগড়ি পরে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তা নিয়ে কম জল্পনা হয়নি। তবে এবার শুভেন্দু অধিকারীর নামে খোলা হল দফতর। কাঁথি শহরে তৃণমূলের ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়টি বদলে গিয়ে হয়েছে ‘শুভেন্দুবাবুর সহায়তা কেন্দ্র’। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই কার্যালয়ের রং নীল–সাদা থেকে বদলে গিয়েছে গেরুয়ায়।
আর এই গেরুয়া রং নিয়েই জল্পনা–কল্পনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেও এখনও শুভেন্দু তৃণমূলের বিধায়ক। ইদানিং কলকাতা–সহ বিভিন্ন জেলায় ‘দাদার অনুগামী’দের পোস্টার পড়েছে। পুরুলিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ও কাঁথি–৩ ব্লকের কুসুমপুর অঞ্চলে ‘দাদার অনুগামী’রা দফতরও খুলেছেন। কিন্তু এই প্রথম সরাসরি শুভেন্দু নাম ব্যবহার করে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হল অধিকারী পরিবারের ‘গড়’ হিসেবে পরিচিত কাঁথি পুর এলাকায়। নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসাবে সেখানেই আগেই খুলেছে বিধায়কের দফতর। সেই আলাদা অফিস নিয়েও চর্চা কম হয়নি।