এবারের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। যদিও পিছিয়ে থাকতে চায় না বাম, কংগ্রেস জোট। নির্বাচনের বহুদিন আগেই বাম এবং কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে জোট করার জন্য ঐকান্তিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে এসেছে। অবশেষে দুটি দলের মধ্যে আসন সমঝোতা সম্পূর্ণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কাল রবিবার ব্রিগেডে বাম- কংগ্রেস জোটবদ্ধ ভাবে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে। ব্যাপক জমায়েত করে তৃণমূল এবং বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চায় জোটের নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে শনিবার বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন,” এখনও পর্যন্ত বুলগানিন যেবার ব্রিগেডে সমাবেশ করেছিলেন সেটাকেই সবচেয়ে বেশি জমায়েত বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে আমরা বলে রাখছি কাল ব্রিগেড ভরে যাবে। বহু মানুষ আসবেন। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাস্ত করতে বাংলার মানুষ বাম, কংগ্রেসকে ভোট দেবেন।” এদিন সমাবেশ স্থল পরিদর্শন করেন তিনি। উল্লেখ্য বাম, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আসতে চলেছে আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ইতিমধ্যেই বামেদের সঙ্গে তাদের জোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে শেষ মুহূর্তের আলোচনা চলছে। মনে করা হচ্ছে আজকেই চূড়ান্ত রফা হয়ে যাবে কংগ্রেসের সঙ্গেও। উল্লেখ্য আব্বাস সিদ্দিকী আগেই জানিয়েছিলেন তাঁর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রবিবার ব্রিগেডে উপস্থিত থাকবেন। তবে আজকের খবর অনুযায়ী আব্বাস নিজে থাকতে চলেছেন। তার মানে ধরে নেওয়া যায় বাম, কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাসের জোট প্রক্রিয়া একপ্রকার চূড়ান্ত হয়েই গিয়েছে। কিছুদিন আগেও বাম কংগ্রেস জোট ততটা চর্চার মধ্যে ছিল না।
কিন্তু সেই জোটে আব্বাস সিদ্দিকী আসার পর ছবিটা কিছুটা হলেও বদলেছে। বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে এই জোট তুল্যমূল্য লড়াই করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে আব্বাসের দল ভাল ফল করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নির্বাচন ঘোষণার পর প্রথম এত বড় সমাবেশ করতে চলেছে বাম, কংগ্রেস এবং আব্বাসরা। এরপর বিজেপি ব্রিগেডে সমাবেশ করবে। সেদিক দিয়ে কালকের সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মঞ্চ থেকে জোটের নেতৃত্ব বাংলার মানুষকে কি বার্তা দেবেন, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।