কাশ্মীরে সিআরপিএফের কনভয়ে জঙ্গি হামলায় গুরুতর আহত ধূপগুড়ির জওয়ান জগন্নাথ রায়কে বাঁচানো গেল না। অনেক চেষ্টাও করে তাঁকে বাঁচাতে পারলেন না চিকিৎসকরা। সোমবার মৃত্যু হল জগন্নাথ রায়ের। ধূপগুড়িতে তাঁর বাড়িতে মৃত্যু সংবাদ আসার পর থেকে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কাশ্মীরের লাওয়াপুরাতে গত ২৫ মার্চ শ্রীনগর–বারমুল্লা জাতীয় সড়কের উপর টহল দেওয়ার সময় সিআরপিএফ–এর ৭৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের উপর হামলা হয়। সেই ঘটনায় শহিদ হয়েছিলেন দুই জওয়ান। আর তিনজন জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছিলেন। আহত জওয়ানদের মধ্যে একজন ছিলেন বাংলার বাসিন্দা। নাম জগন্নাথ রায়।
ধুপগুড়ির পশ্চিম শালবাড়িতে থাকতেন জগন্নাথ রায়। শনিবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পরিজনরা। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। আর সোমবার সন্ধ্যেবেলা এল তাঁর মৃত্যুর খবর। জগন্নাথের বাবা গত হয়েছেন আগেই। ষাটোর্ধ্ব মা প্রমীলা রায়। জগন্নাথ ও তাঁর স্ত্রীর একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। ৩৩ বছরের সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর খবরে তাঁর পশ্চিম শালবাড়ির বাড়িতে কান্নার রোল ওঠে। গোটা এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
আহত হওয়ার কথা জানতে পারার পর শনিবার ওই জওয়ানের দাদা, শ্যালক–সহ পরিবারের তিন সদস্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তাঁরা জানান, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন আহত জগন্নাথ। কিন্তু কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানতে হল বাঙালি জওয়ানকে। জগন্নাথ রায়-সহ আরও এক জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁদের বিশেষ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা সত্ত্বেও মৃত্যু হল ৩৩ বছর বয়সী বাঙালি জওয়ানের। উল্লেখ্য, এই হামলার জন্য লস্কর–ই–তৈবার জঙ্গিরাই দায়ী বলে জানিয়েছিল কাশ্মীর পুলিশ।