কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিশ পাঠাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমের সামনে গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে নাম করেই অভিষেককে আক্রমণ করেছিলেন বাবুল। সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাবুলকে আইনি নোটিশ দিচ্ছেন অভিষেক। আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বিজেপি রাজ্য দফতরের ঠিকানায়। সূত্রের খবর, আইনি নোটিশে বলা আছে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের বিরুদ্ধে।
আইনি নোটিশে তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় বসুর মাধ্যমে অভিষেকের জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে বাবুল সুপ্রিয় যা মন্তব্য করেছিলেন তা ভিত্তিহীন এবং অপমানজনক। এবং এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বাবুলের অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত। নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাবুল সুপ্রিয়কে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং তার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হবে। আর তা যদি না হয় তা হলে বাবুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর ঠিক কী বলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়? জানা গিয়েছে, সেদিন সংবাদমাধ্যমের সামনেই অভিষেকের নাম করে বাবুল কটাক্ষ করে বলেন, ‘ভাইপো আবার বলেন যে তাঁর নাম কেউ নিতে পারবেন না। আমি বলছি, ভাইপোর নাম হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ এর পরই বাবুল সুপ্রিয় বিস্ফোরক মন্তব্য করে অভিযোগ করেন, ‘কলকাতায় ভাইপো যে কোটি টাকার বাড়ি বানিয়েছেন তা কয়লা ও গরু পাচারের টাকা দিয়ে তৈরি।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি নাম নিয়ে বলছি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গরুপাচার, কয়লাপাচারের সঙ্গে যুক্ত। তিনি এর কাটমানি নেন।’
এর আগেও অভিষেকের বিরুদ্ধে বাবুল অভিযোগ তুলেছিলেন যে অভিষেক আসানসোলের কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তখনও বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন অভিষেক। এবং সেই মামলার প্রেক্ষিতে সিটি সিভিল কোর্ট ও হাইকোর্টের দুটি নির্দেশ রয়েছে। সেই নির্দেশে বলা রয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে যদি আগামীদিনে বাবুল সুপ্রিয় কোনও মন্তব্য করেন তবে তা সতর্কতা অবলম্বন করে করতে হবে। কিন্তু এবার ফের বেফাঁস মন্তব্য করে অভিষেকের রোষের মুখে পড়লেন বাবুল সুপ্রিয়।