২২ ঘন্টা অবস্থান বিক্ষোভের পর লালবাজারে সিপির সাথে দেখা করতে সক্ষম হলেন ২২ জন জুনিয়র চিকিৎসক। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করার পর সন্তুষ্ট নয় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। লালবাজার থেকে বেরিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, “১৪ তারিখ ও ১২ তারিখের ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁরা স্বীকার করেছেন, এটি পুলিশি ব্যর্থতা। কিন্তু আলোচনার কোনও সদুত্তর আমরা পুলিশ কমিশনারের থেকে পাইনি। আমরা আমাদের দাবিতে এখনও অনড়। নৈতিক দায় নিয়ে সিপির পদত্যাগ করা উচিত বলে আমরা মনে করি।” প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নিলেও বিচারের দাবিতে আন্দোলন একই ভাবে চলবে।
লালবাজার থেকে আধ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় বসে সোমবার থেকে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন রাজ্যের নানা সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি তুলেই তাঁরা সেই আন্দোলন শুরু করেন। সিপির সঙ্গে বৈঠকের পর তারা বেরিয়ে এসে সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানান, “পুলিশ কমিশনারকে আমরা প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি এই ঘটনায় নৈতিক দায়ভার নিচ্ছেন কি না। জবাবে সিপি জানিয়েছেন, তিনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট। তবে যদি তাঁর কোনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মনে করেন, তিনি নিজের কাজে ব্যর্থ এবং তাঁকে যদি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়— সেটিও তিনি হাসিমুখে মেনে নেবেন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকালের দিলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের শর্ত মেনে নেয়। ঠিক হয় আন্দোলনে নামা চিকিৎসকেরা মিছিল করে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও ওই রাস্তার সংযোগস্থল দিয়ে লালবাজারের সামনের অংশ দিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে যাবেন এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে ২২জন লালবাজারের ভিতরের ঢুকে কলকাতা পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবেন। সেই মতন পুলিশ রাস্তা থেকে ৯ অহুট উঁচু ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় এবং আন্দোলনকারীরা বিকাল ৪টে নাগাদ হাতে হাত রেখে মানববন্ধন তৈরি করে মিছিল করে লালবাজারের দিকে এগোতে থাকেন। মিছিল থেকে ২২জন আন্দোলনকারী যান সিপির সঙ্গে দেখা করতে। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে, নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে স্লোগান তুলতে তুলতে মিছিল এগিয়ে যায় লালবাজারের দিকে।