কোভিড টিকা নেওয়ার পরে যে সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র মিলছে তাতে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তোলে তারা। সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোভিড টিকার সার্টিফিকেট থেকে সরিয়ে দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীর ছবি। কমিশন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমন একটি ব্যবস্থা করতে যাতে পশ্চিমবঙ্গ- সহ যে ৫ রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে সেখানে টিকাকরণের পরে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় তাতে যেন মোদীর ছবি না থাকে। তবে বাকি সব রাজ্যে টিকাকরণের পরে সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছে কমিশন। এর আগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে তৃণমূল অভিযোগ করে, ভোটের তারিখ ঘোষণা হয়ে যাওয়া মানে ভোটের আগের আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়া। এই সময়ে কোভিডের টিকার শংসাপত্রে কোনও নেতা-মন্ত্রীর ছবি দেওয়ার অর্থ সেই বিধিকে অগ্রাহ্য করা।তৃণমূল নেতা ডেরেক ও ব্রায়ান একটি চিঠিতে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে লেখেন, ‘আমরা দাবি করছি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যেন এই অনাকাক্ষিত সুবিধা পাওয়ার ও নিজেকে ভুল ভাবে প্রচার করার সুযোগ না দেওয়া হয়।’গত মঙ্গলবার এই মর্মে একটি টুইটও করেন তিনি। ভ্যাকসিনের ডিজিটাল শংসাপত্রের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এরপরেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নির্লজ্জভাবে কোভিড-১৯ শংসাপত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোর কথাও টুইটে লেখেন তিনি। এর পরেই পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এভাবে ছবি দেওয়ার অর্থ আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা। কারণ সেখানে বলা হয়, যে দল ক্ষমতায় থাকবে, কেন্দ্রে বা রাজ্যে, তারা তাদের প্রশাসনিক অবস্থান ও পদের ক্ষমতাকে কোনও ভাবেই নির্বাচনী প্রচারের কাজে লাগাতে পারবে না। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর ছবি এই সময়ে প্রচার করা যাবে না বলেই দাবি করেন ডেরেক। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে সাধারণ মানুষের করের টাকায়। ফলে সেক্ষেত্রে নিজেকে প্রচার করাটা কাম্য নয়। তাই নির্বাচন কমিশন যাতে ভ্যাকসিনেশনের সার্টিফিকেট থেকে মোদীর ছবি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়, সেই আবেদন জানায় তৃণমূল। সেই দাবি মেনেই কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন।