নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। রবিবার এই স্বীকারোক্তি করলেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে ফের লকডাউন আরোপ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ক্রিসমাসের ঠিক আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় ক্ষুব্ধ ব্রিটেনের জনসাধারণ।
লকডাউন জারি হওয়ায় ব্রিটেনের উদ্দেশে উড়ান বাতিল করেছে বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। বেস কয়েকটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশও অনুরূপ সিদ্ধান্ত নিতে টচলেছে বলে জানা গিয়েছে।
ইংল্যান্ড থেকে আসা পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে স্কটল্যান্ড। সংক্রমণের আশঙ্কায় সীমান্তে নজরদারি কড়া করাও হয়েছে। লকডাউন আরোপ করা হয়েছে ওয়েলসেও। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোভিড সংক্রমণের এই নতুন সংস্করণ আগের চেয়ে প্রায় ৭০% দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যার জেরে কেন্ট কাউন্টিতে একলাফে বেড়েছে সংক্রমিতের সংখ্যা।
বিবিসি-র ‘অ্যান্ড্রু মার শো’-তে এসে স্বাস্থ্য সচিব হ্যানকক জানিয়েছেন, ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। যত তাড়াতাড়ি পারা যায় তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গত কয়েক দিনে চতুর্থ স্তরের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে রকেটের গতিতে জীবাণু ছড়াচ্ছে। জাতীয় স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি রীতিমতো উদ্বিগ্ন।’
লন্ডনে আগামী কয়েক মাস লকডাউন জারি থাকতে পারে, যতক্ষণ না কোভিড প্রতিষেধক টিকা পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত ফাইজার-বায়োএনটেক সংস্থার তৈরি কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে মোট ৩,৫০,০০০ মানুষকে।
অন্য দিকে, লন্ডনে লকডাউন জারি হওয়ার আগে শনিবার রাতে শহর ছাড়তে হাজাক হাজার বাসিন্দা বিমানবন্দর ও রেল স্টেশনে ভিড় করেন। যানজট দেখা দেয় লন্ডেন ছেড়ে যাওয়ার সড়কগুলিতেও। রবিবার সকাল থেকে নিষেধাজ্ঞার ঘেরাটোপে মুড়েছে ব্রিটিশ রাজধানী-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল।