গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কয়লা পাচার কাণ্ডে পুরুলিয়ার ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে নোটিস পাঠিয়ে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। এবার লালা ঘনিষ্ঠ ১০ ব্যবসায়ীকে সমন পাঠাল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, অনুপ মাঝি ওরফে লালার যাবতীয় ব্যবসা দেখাশোনা করত এই ১০ ব্যবসায়ী। শুধু তাই নয়, আয়কর দফতরের কাছে লালার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সব নথির হিসেব চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। লালার হিসেব বহির্ভূত প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির হিসেব পেয়েছে সিবিআই। বেনামি ও হিসেব বহির্ভূত সেই সব সম্পত্তির খোঁজ চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। গত শুক্রবার নোটিস পাঠিয়ে আজ বেলা ১১টার মধ্যে লালাকে সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠায় গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু লালা হাজিরা দিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি সিবিআইয়ের তরফে। ইতিমধ্যেই সিবিআই হেফাজতে রয়েছে এনামুল হক। সূত্রের খবর, দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। কারণ এনামুলের সঙ্গে লালার যোগাযোগ রয়েছে বলেই নিশ্চিত সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, লালা উত্তরবঙ্গে কয়লা পাচারের জন্য এনামুলকে ব্যবহার করত। আর তাই এনামুলকে গ্রেফতার করার পর থেকেই লালার খোঁজ করছে সিবিআই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার হদিশ পায়নি সিবিআই। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে তারা। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে দু’বার নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। এর আগে লালার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। উদ্ধার করা হয়েছে অনেক নথিও। কিন্তু একবারও লালার দেখা মেলেনি। সিবিআই সূত্রে খবর, কোল ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারদের সঙ্গে সাঁট করেই এই অবৈধ কারবার চালাত লালা। অনেকের মতে, প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক মদতও ছিল লালার পিছনে। বিরোধীদের অভিযোগ, লালা থেকে এনামুল এই সমস্ত অবৈধ কারবারের চাঁইদের সঙ্গে বাংলার শাসকদলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ যোগাযোগ রয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই এনামুলের নাগাল পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। এখন দেখার লালাকে কবে ছুঁতে পারে সিবিআই। তার আগেই লালার ঘনিষ্ঠ ১০ ব্যবসায়ীকে সমন পাঠাল সিবিআই।