নানা ধরনের শাকের সঙ্গে আমরা পরিচিত হলেও পুঁই, পালং বা নটে শাকের তুলনায় কিছুটা ব্রাত্য হেলেঞ্চা শাক। কিন্তু উচ্চ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। বিভিন্ন ধরনের শাক তো অনেক খেয়েছেন। বিভিন্ন শাক এর রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ।পুষ্টিবিদদের মতে, রোজের খাবারে হেলেঞ্চা শাক রাখলে বদহজম ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। রোজের পাতে এই শাক রাখলে লিভারও ভাল থাকে। আপনি যদি সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন, তাহলে আপনাকে রেহাই দিতে পারে হেলেঞ্চা শাক। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের সর্দি-কাশি কমায় এবং একই সঙ্গে জমে থাকা ক্বফ নরম করে বের করে দেয়। এছাড়াও এই শাক খেলে অনেক তাড়াতাড়ি জ্বর সেরে যায়। মূলত জলা জমিতে হয় এই শাক। রান্না করার আগে অবশ্যই গরম জলে ভালো করে ধুয়ে নেবেন। এই শাক নিয়ে গবেষণা করা একজন গবেষক বলেন, অনেক সময় আমাদের মুখ দিয়ে গরম ভাপ বের হয় কিংবা মুখ অথবা চোখ জ্বালাপোড়া করতে থাকে। বিশেষ করে গরমের সময় এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এই সমস্যা সমাধানে হেলেঞ্চা শাক অনেক উপকারী। এটি খেলে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং জ্বালাপোড়া ভাব কমবে।অনেকের দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে বা শুয়ে থাকলে কোমর বা দুই পা ফুলে যায়। অনেক সময় ব্যথা হয় কিংবা অসাড় মনে হয়। নিয়মিত হেলেঞ্চা শাক খেলে এটি অনেক কমে আসে। একই সাথে আমাদের কোমরের জয়েন্টের ব্যথা কমাতে এই শাক অনেক উপকারী। তাই নিয়মিত খাবারের হেলেঞ্চা শাক রাখুন।