আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে বারে বারে পথে নেমেছে আন্দোলনকারীরা। ঘটনার শুরুতে ১ জনকেই গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুমাণ করা হয়েছে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ করে হত্যার মামলায় একাধিক ব্যক্তি নিযুক্ত ছিল। কিন্তু সেই অনুমানকে নাকচ করল সিবিআই তদন্তের রিপোর্ট। চিকিৎসককে ‘গণধর্ষণ’ করা হয়নি, একজনই এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত বলে এ বার দাবি করা হল সিবিআইয়ের রিপোর্টে।
সিবিআইয়ের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, নিহত চিকিৎসককে গণধর্ষণ করা হয়নি। সঞ্জয় রায় নামে যে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই একমাত্র এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। ফরেন্সিক রিপোর্টেও একই দাবি করা হয়েছে। ডিএনএ রিপোর্ট এই ধর্ষণের ঘটনায় একজন যুক্ত বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় গত ১০ অগস্ট সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আরজি করের ঘটনাটি সামনে আসার পরেই বিভিন্নমহল থেকে বলা হচ্ছিল, এই ঘটনায় একজন নয়, একাধিক ব্যক্তি যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নিহত চিকিৎসকের শরীরে প্রায় ১৫০ গ্রাম সেমেন পাওয়া গিয়েছে, যা থেকে অনেক চিকিৎসকরাও এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির যোগের কথা তুলে ধরছিলেন। যদিও, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ১৫০ গ্রাম সেমেন পাওয়ার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, চিকিৎসকের এন্ডোসার্ভাইকাল ক্যানেলে গাঢ় সাদা তরল পাওয়া গিয়েছে। নিহত চিকিৎসকের দেহে মোট ১৬টি জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথায়, গালে, নাকে, ঠোঁটের ভিতরে, বাম কাঁধে ও হাতে, বাম হাঁটুতে এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ফুসফুসে রক্ত জমাট বাধা অবস্থা ছিল।