গতরাত দুটো নাগাদ দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন সংলগ্ন বাজারে আগুন লাগে। সেই সময় বাজারের মধ্যে একটি দোকানে ঘুমাচ্ছিলেন দুই মহিলা-সহ তিনজন। আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে তাঁরা দ্রুত দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। প্রাথমিকভাবে দমকলের চারটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। কিন্তু তাতে আগুন আয়ত্তে আসেনি। উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ঘিঞ্জি এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে আগুনের লেলিহান শিখা। গ্রাস করতে থাকে একের পর এক দোকান। তারইমধ্যে বাজার থেকে বিকট শব্দ হয়। দমকলের অনুমান, সম্ভবত একাধিক সিলিন্ডার ফেটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও পাঁচটি ইঞ্জিন পাঠানো হয়। অবশেষে ঘণ্টা আড়াইয়ের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। আপাতত সেখানে ‘কুলিং-অফ’ করার কাজ চলছে।
স্থানীয় এক দোকানদার জানান, রাতে ঘুমাচ্ছিলেন। আচমকা বুঝতে পারেন যে আগুন লেগে গিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে কোনওক্রমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু যাবতীয় সামগ্রী, নথিপত্র সবকিছু গ্রাস করেছে আগুন। কার্যত নিঃস্ব অবস্থায় আছেন। পায়ে জুতোও নেই। তা ভস্মীভূত ঘরে থেকে গিয়েছে। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, রাত দুটো নাগাদ দমকলের কাছে ফোন আসে। খবর দেওয়া হয় দমকল এবং বরাহনগরে। কিন্তু বাজারের রাস্তা এতটাই সরু যে দমকলের গাড়ি নিয়ে আসতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সঙ্গে উত্তুরে হাওয়ায় আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরে ন’টি ইঞ্জিন নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।