More
    Homeঅনান্যগরমের শাসনেও ত্বক থাকুক প্রাণবন্ত !

    গরমের শাসনেও ত্বক থাকুক প্রাণবন্ত !

    ঘৃতকুমারী কাজের ভারী –

     

    ঘৃতকুমারী, যাকে অ্যালোভেরা নামেই বেশি চেনে মানুষ , ত্বকের বিপদ-আপদে নিশ্চিন্তে ভরসা করুন তাকে। রাস্তায় খুঁজে কিনতে না চাইলে সুপারশপ ঘুরে দেখুন , পেয়ে যাবেন ঠিকঠাক দামেই। ফ্রীজে দুই/তিনদিন রেখে দিতে পারবেন একটা অ্যালোভেরা। গোসলের আগে, বা ঘুমোতে যাবার আগে কেবল বিশ মিনিট সময় দিন নিজেকে। অ্যালোভেরা কেটেকুটে জেল বের করতে হবে, তাকে আর কিছুর সাথে মেশাতে হবে বা ভালো মতন ফেটিয়ে নিতে হবে, এমন সব নির্দেশনা জানা থাকলে আপাতত ভুলে যান। অ্যালোভেরা একটুখানি ভেঙ্গে নেবেন, দুই পাশ কেটে নিয়ে উপরের শক্ত আবরণটুকুও কেটে বাদ দেবেন। এবার সাবানের মতন পুরো মুখে লাগিয়ে নিন জেলটুকু। মিনিট পনেরো ত্বকে কাজ করার সময় দিন এই জাদুকরী নির্যাসকে। তারপর নিয়ম মতো বেশি করে পানির ঝাপটায় মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিনই সময় না হলে একদিন পরপর অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন ত্বকে। তাও না পারলে নাহয় দুদিন পরপর করবেন। আপনার ত্বক অনেকটাই সুস্থ, প্রাণবন্ত থাকবে তাতে।

     

    গোলাপজলে শান্তি –

     

    এক শিশি গোলাপজল আপনার কাছে এই গরমে থাকা চাই। ফেইসপ্যাক ব্যবহারের ঝামেলায় যান বা না যান , কেবল গোলাপজলই মাঝেমাঝে মুখে লাগিয়ে রাখুন কয়েক ফোঁটা নিয়ে। গোলাপজল ফ্রীজে রাখবেন , আরো স্বস্তি মিলবে ঠান্ডা গোলাপজল মুখে লাগালে। কখনো আবার মুখ ধোয়ার পানি একটা পাত্রে নিয়ে তাতে খানিকটা গোলাপজল ঢেলে দেবেন, মুখ ধোয়ার পর প্রশান্তির অনুভূতি পাবেন তাতে। ত্বকও সতেজ লাগবে।

     

    সবজির আলু আর সালাদের শসা –

     

    বাসায় যেদিন খাবারে আলু রান্না করা হবে, আগেভাগেই নিজের জন্যে দুই টুকরো আলু সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করবেন। একইভাবে শসার সালাদ হলে একটুখানি শসা তুলে রাখুন ত্বককে খুশি করতে। থেঁতো করে রস বের করার সময় নেই, ইচ্ছা নেই, তাতে বড় কোন অসুবিধাও নেই। কাঁটা চামচ দিয়ে কেঁচে নিন আলুর টুকরো, শসাকেও এইভাবে কেঁচে নিয়ে রস বের করতে পারেন। আলুর টুকরো এবার ত্বকে আলতো করে চেপে রসটুকু লাগিয়ে নিন। পোড়া ত্বকের ভালো ওষুধ এই আলুর রস। শসার রসও এভাবে ব্যবহার করা যাবে পুরো মুখে। এবং চোখের উপরেও আলু আর শসা দুটিই ব্যবহারযোগ্য। ত্বকের পোড়াভাব, কালচে দাগ দূর করতে অল্প পরিশ্রমে এর চেয়ে ভালো উপায় আর কই পাবেন!

     

    ডাবের পানি –

     

    বেশ ভালো প্রাকৃতিক ক্লিনজার হলো ডাবের পানি। কিচ্ছুটি মেশানোর ঝামেলা নেই। সরাসরি ডাবের পানিতে ত্বক ধুয়ে নেবেন, বা বাটিতে নিয়ে তুলো কিংবা নরম কাপড় ভিজিয়ে সেটা মুখে লাগাবেন। কিছুক্ষণ রেখে তারপর একবার পানির ঝাপটা দিয়ে নেবেন মুখে। যদি একটু বেশি সময় থাকে হাতে, ডাব কেটে ভেতরের নির্যাসটুকু বের করে নিন। ত্বকে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। শীতল চনমনে একটা ভাব আসবে ত্বকে। মলিনতা কাটিয়ে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ডাবের পানি ভীষণ কার্যকরী।

     

    এগুলির মাঝে কোনটি করতেই আপনার মিনিট বিশেকের বেশি সময় লাগবে না। আর না আছে কিছু তৈরি করার বাড়তি কাজ। কেবল অলসতা কাটিয়ে নিজেকে এইটুক সময় দেয়া চাই, ব্যাস। নিয়মিত যখন আপনি নিজেকে এই যত্নটা দেবেন, আপনার ত্বক গরমের কড়া শাসনেও দিব্যি ফুরফুরে আর প্রাণবন্ত থাকবে।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments