ঘন কুয়াশার কারণে সাতসকালে বড় দুর্ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। ভাতারের বেলেণ্ডা পুলের কাছে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের উপর দু’টি যাত্রীবোঝাই বেসরকারি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন ৩০ জন যাত্রী। আহতদের প্রথম উদ্ধার করে প্রথমে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কয়েকজন গুরুতর জখম যাত্রীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য পাঠানো হয়। বর্ধমানগামী বাসের পিছনে আবার একটি ক্যান্টার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয়। একটি বাসের চালক বাসের মধ্যে ঘন্টা খানেক আটকে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা একেবারে কমে গেছে। ফলে কাছের জিনিসকেও ঠিক মত দেখা যাচ্ছে না। তার জন্যই এদিন দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে দু’টি বাসের গতি তুলনামূলক কম থাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেয়েছেন যাত্রীরা। কাটোয়া থেকে বাসে বর্ধমান যাচ্ছিলেন হাফিজুল সেখ। তিনিও দুর্ঘটনায় জখম হন। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। বাসটি ধীর গতিতে চলছিল। কিন্তু হঠাত্ই শুনি বিকট শব্দ। বাসটা পুরো নড়ে যায়। কুয়াশার এত ঘনত্ব সামনের কোনও জিনিস ভালো করে দেখা যাচ্ছে না। বাসের হেডলাইট জ্বললেও তা বোঝা যাচ্ছে না। তার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে।” আর এক যাত্রী শুভদীপ মুখার্জি বলেন, ”কুয়াশার জন্য এগোতেই পারছিল না বাস। খুব ধীর গতিতে এগিয়েও দুর্ঘটনা আচকানো গেল না। বাসের গতি বেশি থাকলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতো। অনেক প্রাণহানি হত।” টানা চারদিন ধরে সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির মতই পূর্ব বর্ধমান জেলাও। স্বাভাবিক ভাবেই বাধা সৃষ্টি হচ্ছে যান চলাচলে। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।